নতুন বাজেটে নীতিতে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ব্যবহার বাড়াতে চায় সরকার।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বাড়াতে প্রস্তাবিত বাজেটে বেশকিছু প্রস্তাবনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তবে মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে দিতে হবে আগের চেয়ে বেশি কর। এছাড়াও করের আওতা বাড়াতে সঞ্চয়পত্র, পোস্ট অফিসের সঞ্চয় হিসাব খুলতে বাধ্যতামূলক হচ্ছে টিআইএন নম্বর।
প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলেই দুই লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগবে টিআইএন নম্বর। এছাড়াও পোস্ট অফিসে সঞ্চয় হিসাব খুলতে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। কর জাল সম্প্রসারণে বাড়ির নকশা অনুমোদনে ও সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রেশনেও লাগবে টিআইএন নম্বর। এছাড়াও ইসলামী বন্ড মূসকের মুলধনী কর অব্যাহতি দেয়ার হয়েছে বাজেটে।
ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে নতুন অর্থবছরের বাজেটে কর্পোরেট করে ছাড় দেয়া হলেও মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে দিতে হবে আগের চেয়ে বেশি কর।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমএফএস কোম্পানির ক্ষেত্রে কর হার সাড়ে ৩২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে পুঁজিবাজারে নেই এমন এমএফএস কোম্পানির ক্ষেত্রে সাড়ে ৩২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও ৫০ হাজার টাকার বেশি পেমেন্ট হলে সেটি এখন থেকে ক্রস চেক, ব্যাংক ট্রান্সফার বা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে করতে হবে। সরবরাহ ও ঠিকাদারির বিল ব্যাংকিং বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রহণ করা না হলে প্রযোজ্য উৎসে করহারের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ কর্তন করা হবে।
এমএফএসের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা লেনদেন হয় বলে বাজেট বক্তব্যে জানান অর্থমন্ত্রী।