জাতীয়

নতুন স্বপ্ন নিয়ে ভাসানচরে আরও ২২৬০ রোহিঙ্গা

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ৩রা মার্চ ২০২১ ০৫:১৮:২৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

পেছনে ফেলে আসা দুঃসহ স্মৃতি ও নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে পঞ্চম দফায় ভাসানচরে গেলেন আরও দুই হাজার ২শ' ৬০ জন রোহিঙ্গা।

কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পের চেয়ে একটু ভালো থাকার আশায় আরও ২২৬০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছেছেন। বুধবার (৩ মার্চ) সকালে নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজ চট্টগ্রামের বোট ক্লাব থেকে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। এনিয়ে প্রায় ১২ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গার ঠিকানা হল ভাসানচরে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চম দফার দ্বিতীয় ভাগে আরও দুই হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হবে।

সুযোগ পেলে ভাসানচরে কাজ করে জীবিকা চালানোর কথা বলছেন সেখানে যাওয়া রোহিঙ্গারা। ভাসানচরে রোহিঙাদের আবাসন ব্যবস্থাপনায় থাকা নৌবাহিনী বলছে বাস্তুচ্যূতদের জন্য এমন ব্যবস্থা গর্ব করার মত।

এর আগে, গেল সোমবার থেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজে নেয়া হয়, সেখান থেকে ধাপে ধাপে চট্টগ্রামে নেয়া হয়।

গত ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৪ হাজার রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এছাড়া চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন। তারও আগে ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন এবং ২০২০ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তরিত হন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আগস্ট পরবর্তী সময়ে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এরও আগে থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় আরও ৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করছিলেন ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।

আশ্রিত রোহিঙ্গাদের এদেশে সাময়িক অবস্থান যেন আরো শোভন হয়, সে চেষ্টার কমতি করেনি সরকার। প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। তাই তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করে ভাসানচরে গড়ে তোলা হয় বিশাল আশ্রয়ন প্রকল্প।

ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্পে ১৪৪০টি ঘর এবং ১২০টি সাইক্লোন সেন্টারে থাকতে পারবেন ১ লাখ ১ হজার ৩৬০ জন রোহিঙ্গা। এখানে রয়েছে চিকিৎসা ও শিশুদের শিক্ষার সুব্যবস্থা।

আরও পড়ুন