নদী রক্ষায় কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের রায় নিম্নমানের বলে মন্তব্য আপিল বিভাগের।
নদী রক্ষায় হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের রায় নিম্নমানের এবং ওই রায়ের কয়েকটি নির্দেশনাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও শুনানিতে মন্তব্য করে আপিল বিভাগ।
নদ-নদী দখলকারিরা নির্বাচনে অযোগ্য হবেন এবং ব্যাংক ঋণ পাবেন না, এমন কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে গেলো বছরের ৩রা ফেব্রুয়ারি রায় দেয় হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। রায়ে নদীর দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া হয়।
নদী রক্ষা আইন ৬ মাসের মধ্যে সংশোধন করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় রায়ে। রায়ের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাতেও নির্দেশ দেয়া হয়।
মামলায় পক্ষভুক্ত ১৪টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে। সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ নদী রক্ষায় হাইকোর্টের একজন বিচারপতির দেয়া রায়ের কিছু অংশের সমালোচনা করে। এটাকে নিম্নমানের রায় বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
এ সময়, হাইকোর্ট সরকারকে কোনো আইন করতে নির্দেশ দিতে পারে না বলেও মন্তব্য করে আপিল বিভাগ।
এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ' রায়ে যে নির্দেশনাগুলো আছে তার অনেকগুলোই বাস্তবে কোনোভাবেই কার্যকর করা সম্ভব না। সুতরাং যে রায় বাস্তবে কার্যকর করা সম্ভব না সে রায় দেয়া আর না দেয়া সমান কথা।'
যে রায় বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, এমন রায় দিতে পারে না হাইকোর্ট। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামক একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের করা রিট মামলার নিষ্পত্তি করে নদী রক্ষায় এই রায় দেয় হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ।