একাত্তরের এই দিনে মুক্ত হয়েছিলো নরসিংদী, কুমিল্লার চান্দিনা ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ। এই তিন এলাকার আকাশে ওড়ে লাল সবুজ পতাকা।
১৯৭১ সালের ১২ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয় নরসিংদী। মুক্তিবাহিনীর হাতে পরাজয় বরণ করে পাকিস্তানি হানাদাররা।
নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে শতাধিক খন্ডযুদ্ধে অংশ নিয়ে শহীদ হন ১১৬ জন বীর সন্তান। কিন্তু, যারা দেশের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলো, তাদের গণকবরগুলো সংরক্ষণ করার দাবি তুলেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
৭১ এর এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করে কুমিল্লার চান্দিনাকে। ১১ই ডিসেম্বর চান্দিনার মাইজখারের ফাঐ করতলা এলাকায় দখলদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর মুখোমুখি যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে ৩ মুক্তিযোদ্ধাসহ ৬ জন শহীদ হন।
একই দিন, চান্দিনা উপজেলার হারং উদালিয়া ও এতবারপুর ইউনিয়নের বানিয়াচং এলাকায় হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। ওই দিন প্রায় ১১০০ পাকিস্তানী সৈন্য মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। মুক্ত হয় চান্দিনা।
১১ই ডিসেম্বর রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ কাটাখালী ব্রীজের পাশে ও সাঘাটা-গোবিন্দগঞ্জ সীমানার ত্রিমোহিনী ঘাটে মুক্তিকামী মানুষের প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর শক্ত প্রতিরোধে রাতভর যুদ্ধে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা অস্ত্র ফেলে ছদ্মবেশে পালিয়ে যায়। ১২ই ডিসেম্বর সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্রমুক্ত হয় গোবিন্দগঞ্জ।