রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ডে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরীর দাবি জানিয়েছেন নাট্যজনরা। সংস্কৃতি বিকাশে বিভিন্ন পয়েন্টে উন্মুক্ত নাট্যমঞ্চ নির্মানেরও দাবি জানিয়েছেন তারা। অভিযোগ, বহু বছর ধরেই অবহেলিত এই সাংস্কৃতিক অঙ্গন।
তবে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন এফডিসির উন্নয়নে বিভিন্ন সময় নানান প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তার বাস্তবায়ন হয় নি। বরং অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবে উপেক্ষিতই থেকে গেছে বিনোদন ও নাট্য জগত।
আসন্ন ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার প্রচারণায় এরই মধ্যে সরব হয়ে্ ওঠেছেন প্রাথীরা। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতিও। তবে বিনোদন কিংবা সংস্কৃতি অঙ্গনের বিকাশ নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা যায় নি মেয়র প্রার্থীদের।
নাট্যজনরা বলছেন সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে প্রয়োজন প্রতিটি ওয়ার্ডেই সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলার। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, 'প্রতিটি ওয়ার্ডে কালচারাল সেন্টার হতে হবে। ওয়ার্ড কমিশনারদের ওরিয়েন্টেশন দরকার আছে। এই কালচারাল সেন্টারগুলি সেই ওরিয়েন্টেশনের দায়িত্ব পালন করতে পারবে।'
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দছ এ প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা নাগরিক হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের ট্যাস্ক দেই। সেই ট্যাক্সের একটি অংশ বিনোদনের জন্য দেয়া। বিনোদনের সেই দায়িত্বটি কি সিটিকর্পোরেশন পালন করছে? আজ পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশন একটি মঞ্চও কি নিজের উদ্যোগে তৈরী করেছে?'
এদিকে ফুটপাত দখল, অপরিস্কার, মশার উপদ্রবসহ নানান সমস্যা নিয়ে চলছে এফডিসির কার্যক্রম। অনেকের অভিযোগ নেতারা বিভিন্ন সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও অবস্থার কোন পরিবর্তন হয় নি।
অভিনেতা তাসকিন রহমান বলেন, 'মশা দমনটা বাংলাদেশ ব্যাপী একটা বড় সমস্যা। ইউনিটে শিল্পী এবং বিভিন্ন কলাকৌশলীরা যখন দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে থাকেন তখন এটা একটা বড় সমস্যার কারণ হয়।'
এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী অঞ্জনা বলেন,'সিটি কর্পোরেশনের প্রধান যে কাজটি থাকবে সেটি হলো সিটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। যেখানে সেখানে যেন ময়লা আবর্জনা না থাকে।'
তবে বিনোদন জগতের উন্নয়নে সার্বিক পরিবর্তন দরকার বলে মনে করেন তারকা শিল্পীরা। সেক্ষেত্রে মুল ভুমিকা পালন করতে পারে মেয়ররাই। অভিনেত্রী রোজিনা জানান, 'মেয়রা যেন সিনেমা হলের বিষয়ে ভাবেন। নাট্য শিল্পীদের জন্য মঞ্চ তৈরীর কথা চিন্তা ভাবনা করেন।'
এদিকে বিনোদন জগতের তারকাদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় মাঠে সরব থাকতে দেখা গেছে অনেককেই।