ক্রীড়া ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের নারীরা। ক্রিকেট-ফুটবল থেকে শ্যুটিং,আর্চারি, দাবা কিংবা ভারোত্তলনে পিছিয়ে নেই তারা। নিজেদের মেলে ধরতে করে যাচ্ছেন কঠোর পরিশ্রম। ধরা দিচ্ছে সাফল্যও।
বাংলাদেশের মেয়েরা এখন ফুটবল পায়ে মাঠ কাঁপাতে পারেন। ছিনিয়ে আনতে পারেন আন্তর্জাতিক শিরোপা। ক্রিকেট ব্যাট হাতে চার-ছক্কা হাঁকাতে পারেন। খেলতে পারেন বিশ্বকাপের মত বড় আসরেও।
শ্যুটিং,আর্চারি বা দাবা থেকে শুরু করে ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই লাল-সবুজের নারীদের সাফল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্ব যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন কেন পিছিয়ে থাকবেন বাংলার নারীরা?
বাংলাদেশে নারীদের সাফল্য নিয়ে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, গত তিন চার বছরে ফুটবলে বিশেষ করে এইচ লেভেলে আমাদের যে সাফল্যগুলো রয়েছে সেই জাগরণটা আসলেই আমাদের দেশের নারীদের সাফল্য প্রমাণ করে।
ভারোউত্তলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত বলেন, আমাদের ভারোউত্তলন দলে এমন অনেক নারী রয়েছে যাদের ছোট শিশু থাকার পরেও রয়েছে তারা ভারোউত্তলন করছে এবং স্বর্ণ পদক জয়ী করছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নিজেদের এগিয়ে নেয়ার লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকতে চান না বাংলার ক্রীড়া কন্যারা।
এ বিষয়ে তীরন্দাজ দিয়া সিদ্দিকী বলেন, যেখানেই অন্যায় দেখুন, সেখানেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন এবং নিজেদের অধিকার সম্পর্কে অবগত হোন।
সাবেক ক্রিকেটার সাথিরা জাকির জেসি বলেন, অনেক যুদ্ধক্ষেত্র পেরিয়ে আজকের সফল নারী হয়ে তারা এই জায়গায় এসেছে।
সময় এখন নারীদের এগিয়ে যাবার। প্রতিযোগিতার ময়দানে নিজেদের যোগ্যতার প্রমান দেওয়ার। সেখানেই নিজেদের মেলে ধরতে যত পরিশ্রম বাংলার নারী ক্রীড়াবিদদের।
মারিয়া, তহুরাদের সাফল্যের শিখরে উঠার অদম্য চেষ্টা আর ইচ্ছে বাতি জ্বলতে থাকুক যুগের পর যুগ। বাংলার নারী ক্রীড়াবিদরাও সাফল্য ছুঁয়ে যাক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।