বিভিন্ন দেশে নারী শ্রমবাজার চালুর পর বিদেশে কর্মী পাঠিয়েছে ১৫টি এজেন্সি। তবে ৫ বছরে এজেন্সির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬২১টি। মন্ত্রণালয় বলছে, বাজার সম্প্রসারণ করতেই এতো এজেন্সিকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করেই এজেন্সির অনুমতি দেয়া উচিত।
বিদেশে নারী শ্রমিক নির্যাতন নিয়ে বিদায়ী বছরে আলোচনায় এসেছে বেশ কিছু ঘটনা। প্রবাসী নারী শ্রমিকদের দেশে ফেরার আকুতি জানানো সেসব ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফলে তাদের সুরক্ষা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন।
১৯৯১ সাল থেকে অল্প সংখ্যক নারী কাজ নিয়ে বিদেশে গেলেও ২০১৫ সাল থেকে তা বাড়তে থাকে। বিএমইটি বলছে ২০১৯ সালে নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৫৮ হাজার নারী শ্রমিক বিদেশ গেছেন। নারী শ্রমিক পাঠানোর এজেন্সির সংখ্যাও বাড়ছে ব্যাপকহারে।
এ প্রসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, 'যে সকল রিক্রটিং এজেন্সির রেকর্ড খারাপ, নিশ্চিতই আমরা তাদেরকে বন্ধ করে দিব।'
নারীকর্মী না পাঠালে পুরুষকর্মী নেয়া হবে না- সৌদি আরবের এমন অলিখিত শর্তের কারণে বেড়ে যায় রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা। ২০১৯ সালে ১১ হাজারের বেশি নারী শ্রমিক পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ওভারসীস ইম্প্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিস। এর পর রয়েছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট কর্পোরেশন ও মাসুদ জামিল ওভারসিস।
ফাতেমা ওভারসিসের স্বত্তাধিকারী কবির হোসাইন জানান, 'মহিলা কর্মী পাঠালেই পুরুষ কর্মী নেবে সৌদি আরব এমন একটি চুক্তি হয় সরকারের সাথে। আমরা বাধ্য হয়েই নারী কর্মী পাঠিয়েছি।'
বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, 'বাধ্যবাধকতার কারণেই, যারা সৌদি আরবে লোক পাঠানোর কাজ করতেন, তারা এখন ৯০ শতাংশ মহিলা পাঠানোর অনুমোদন নিতে বাধ্য হয়েছেন।'
অনুমতির পাশাপাশি এসব এজেন্সিকে নিয়ন্ত্রণ ও মনিটর করা জরুরি বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। রামরু প্রোগ্রাম পরিচালক মারিনা সুলতানা বলেন, 'বাছাইকৃত এজেন্সীর মাধ্যমেই কিন্তু নারীদেরকে শ্রমিক হিসেবে বিদেশে পাঠানো দরকার।'
কারণ নির্যাতনে বিদেশ ফেরত নারী গৃহকর্মীদের বিষয়ে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে তেমন কোনো শাস্তির দৃষ্টান্ত নেই।