অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যায় স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদ সরাসরি জড়িত। হত্যার পর দু'জনে মিলেই মরদেহ গুমের পরিকল্পনা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে, পরকীয়ার জেরে এ ঘটনা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত সোমবার ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জ থেকে চিত্রনায়িকা শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আসতে থাকে বেশ কয়েকজন শিল্পির বিরুদ্ধেও।
পরে, মরদেহের বস্তায় থাকা প্লাস্টিকের সুতার সূত্র ধরে হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু ফরহাদকে। এরপর পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে নোবেল। আটকের পর বন্ধু ফরহাদকে সহযোগী বলা হলেও পুলিশের দাবি, এই হত্যায় সেও সরাসরি জড়িত। হত্যা করা হয় শিমুর বাসাতেই।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ দক্ষিণ) হুমায়ুন কবির বলেন, একজন হেল্প করেছে। নোবেলের বাল্যবন্ধু ফরহাদ তাকে সাহায্য করেছে। আমরা তাদেরকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আমরা যখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করি তখন দুইজনই স্বীকার করে যে তারা দু'জন মিলে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।
বিভিন্ন বিষয়ে শিমু ও তার স্বামীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত কিনা তার তদন্ত চলছে।
হুমায়ুন কবির আরও বলেন, আমরা স্পেসিফিকভাবে কিছু বলতে চাচ্ছিনা। আমরা তদন্ত করে দেখছি এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি-না। যাদেরকেই আমরা সংশ্লিষ্ট পাব তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
গতকাল বৃহম্পতিবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদ।