বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার মতো মানসম্মত শিক্ষা ও আবাসন ব্যবস্থা না থাকার কথা স্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
চলতি শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হননি। আর ১০ বছর ধরে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। শিক্ষাবিদরা বলছেন, সহিংস ছাত্র রাজনীতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভর্তি নীতিমালা না থাকা এবং আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে নিম্নমুখী অবস্থানের কারণেই বিদেশি শিক্ষার্থী কমে আসছে।
দশ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কমে আসছে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা। চলতি শিক্ষাবর্ষে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। একই অবস্থা ছিল ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষেও। অন্যান্য বছরেও বিদেশি ছাত্র ভর্তির সংখ্যা ৫ জন ছাড়ায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল-স্যার পি জে হার্টজ ইন্টারন্যাশনাল হল। হলের ১২৩টি কক্ষের মাত্র ৭০টি কক্ষে বিদেশি শিক্ষার্থীরা থাকেন। বাকি ৫৬টি কক্ষের মধ্যে ৫৩টি কক্ষে থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তিনটি কক্ষে থাকেন হলের কর্মকর্তারা।
বেশিরভাগ বিভাগে বাংলা মাধ্যমে শিক্ষাদান, ওয়েবসাইট হালনাগাদ না থাকা, সহিংস ছাত্ররাজনীতি, আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নগামী অবস্থানের কারণে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে বলেই মত শিক্ষক ও গবেষকদের।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, 'বাংলা একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় আমরা বিশ্ব পরিসর থেকে পিছিয়ে পড়ছি এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রদের হারাচ্ছি।' এছাড়া আন্তর্জাতিক ছাত্রদের কাছে অনেক অপশন থাকার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে পড়ছে বলেও জানান ড. মেসবাহ কামাল।
নানা সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার মতো মানসম্মত শিক্ষা ও আবাসন ব্যবস্থা না থাকার কথা স্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালেয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। এছাড়া বিশ্ব মানদণ্ডে পিছিয়ে থাকার কথাও স্বীকার করেছেন উপাচার্য।
তবে, মাস্টার প্লানের আওতায় নেয়া নানা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সঙ্কটের সমাধান হবে বলে দাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের।