ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত অনুপ্রবেশকারীর মরদেহ ফেরত নিল পাকিস্তান।
ওই ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরের কেরান সেক্টরের কুপওয়ারায় ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মারা যান ওই অনুপ্রবেশকারী।
জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোখার বিশেষ দলের প্রধান, মেজর জেনারেল এএস পেনধারকর বলেন, পাক সেনা বর্ডার অ্যাকশন দলের (ব্যাট) সদস্যরা শনিবার নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাঁদের প্রচেষ্টাকে দ্রুত আটক দেওয়া হয়।’’ সেই অভিযানের সময় ব্যাটের সদস্য ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে ভারতীয় সেনা।
তার মরদেহের কাছ থেকে একটি একে ৪৭ রাইফেল, বেশি কিছু অস্ত্রশস্ত্র এবং গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি পাকিস্তানি নগারিকত্বের কার্ড ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া দু’টি করোনা টিকা নেওয়ার সনদ উদ্ধার হয়েছে। ওই সনদের ছবিতে দেখা যাচ্ছে অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তি সেনা পোশাক পরে রয়েছেন।
এর পর ওই ব্যক্তির মরদেহ ফেরত নেওয়ার জন্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে জানায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাকিস্তান তার মরদেহটি ফেরত নিয়েছে।
সেনাবাহিনীর জিওসি ২৮ পদাতিক বাহিনীর মেজর জেনারেল এএস পেনধরকার বলেন, পাকিস্তানের ওই নাগরিক শনিবার কেরান সেক্টর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী এ ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। এতে পাকিস্তানের ওই অনুপ্রবেশকারী নিহত হন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তানের ওই অনুপ্রবেশকারীকে মোহাম্মদ শাবির মালিক বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই ঘটনা স্পষ্টত পাকিস্তানের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের নমুনা।
অনুপ্রবেশের চেষ্টার ঘটনায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের করা যুদ্ধবিরতির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য ভারত সেনাবাহিনীর।