ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া মেয়েকে উদ্ধার করে আনলেন স্বয়ং মা। মেয়েকে উদ্ধারে দালালচক্রের সঙ্গে মাও গেলেন পতিতালয়ে।
ফাঁদে ফেলে প্রথমে মেয়েকে পাচার করে দালাল চক্র। পরে মেয়েকে উদ্ধার করতে একই পথে মা-ও যান ভারতে। ভারতের উত্তর দিনাজপুরের জনপ্রতিনিধির সাহায্যে, লোমহর্ষক নানান ঘটনার পর, পতিতালয় থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন মা। পরে দু'দেশের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারত থেকে মা ও মেয়েকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয় বিএসএফ।
ঘটনা শুনলে যে কেউ অবাক হবেন বৈকি! ঘটনা অনেকটা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। রাজধানীর মিরপুরে থাকা এক দম্পত্তির চার সন্তানের মাঝে বড় মেয়েটি পাচার হয় ভারতে। ঢাকায় স্থানীয় নাগিন সোহাগ নামের এক যুবক বিউটি পার্লারের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে প্রথমে সাতক্ষিরায় নিয়ে যায়। পরে সাতক্ষিরা থেকে কাল্লু ও দালাল বিল্লালের সহযোগীতায় ভারতে পাচার করে।
পাচার হওয়া মেয়েটি জানান, আমাকে প্রথমে বাসা থেকে সোহাগ নিয়ে গিয়েছিল এরপর কালু, কালু থেকে বিলাল নিয়েছে। যখন আমি ওখানে গিয়ে জানতে পারি আমাকে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে তখন আমি অনেক কান্নাকাটি করি। তখন তারা আমাকে অনেক মারধর করে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঘটে পাচারের ঘটনা। এরপর মা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অনেক জনের শরনাপন্ন হন মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য। বাধ্য হয়ে মা নিজেই হাঁটেন মেয়ের পথে।
ভারতে গিয়ে তিক্ত অবস্থার সম্মুখীন হন মা। যা কখনো ভাবতেই পারেননি তিনি। কিন্তু হাল ছাড়েননি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাহায্যে ভারতের উত্তর দিনাজপুরের এক পতিতালয় থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন মা।
এরপর সীমান্ত পার হওয়ার সময় ধরা পড়েন বিএসএফের কাছে। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে পাঁচমাস পর দেশে ফেরেন মা ও মেয়ে। পুরো ঘটনাটি ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতেও প্রচার হয়।
এখন থানায় মামলা না করার জন্য মাও মেয়েকে হুমকি দিচ্ছে পাচার চক্রের সদস্যরা।