বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ, বিশেষ প্রতিবেদন, কৃষি

পাট চাষে বিমুখ চাঁদপুরের কৃষকরা

হ্যাপী মাহমুদ

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ২৫শে জুলাই ২০২১ ০১:১৯:০১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

চাঁদপুরে একসময় প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে পাটের চাষ হলেও, বর্তমানে সোনালী আশের চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন জেলার কৃষকরা।

উৎপাদন খরচ বেশি এবং ভালো দাম না পাওয়ায় দিনদিন আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে নানা উদ্যোগ নেয়ার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।

সোনালী আঁশ খ্যাত পাট আবাদে চাঁদপুর জেলার অবস্থান ছিল প্রথম সারিতে। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয় জেলার  সদর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায়। যার মধ্যে দেশী, তোষা, কেনাফ ও মেস্তা জাতের পাট আবাদ হয় এ অঞ্চলে। 

পাটকে কেন্দ্র করে জেলায় গড়ে ওঠে দুটি বেসরকারি জুট মিল। এছাড়া পাট গুদামজাত করার জন্য সরকারিভাবে তৈরি করা হয় বিশাল গোডাউন। 

কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে দৃশ্যপট। খরচ বেশি, ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার পাশাপাশি পানি সংকটে পাট পচাতে সমস্যার কথা জানান কৃষকরা। কৃষকরা বলেন, আমরা এখন পাট করে পুষাতে পারিনা। কামলা-সার দিয়ে অনেক খরচ সে হিসেবে দাম পাইনা। আমাদের চালানই থ্যাকে না

পাটের আবাদ কম হওয়ায় জেলার দুটি জুট মিলের মধ্যে বন্ধ রয়েছে একটি। অন্যটি চলছে নামমাত্র। এছাড়াও সরকারি গোডাউন পড়ে আছে জরাজীর্ণ অবস্থায়।  

পাটের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে, পাট চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, পাটের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে, পাট চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিকল্প ফসলে লাভ বেশি হওয়ায় পাট আবাদে কৃষকের আগ্রহ তুলনামূলক কমে গেছে 

চলতি বছর জেলায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে।  আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে।  যা আগের বছরের তুলনায় দুইশ হেক্টর কম।

আরও পড়ুন