উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ৫টি উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে।
নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
কানাইঘাটে সুরমা, জকিগঞ্জে কুশিয়ারা ও জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব উপজেলার অন্তত পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলী জমি। অনেক সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হলে সিলেটের নদীগুলোর পানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানায়, সুরমা নদীর পানি সিলেটের কানাইঘাটে, কুশিয়ারার পানি অমলশীদ ও শেওলায় এবং সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাটে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ওইসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এ পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে পারে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। প্রধান নদীগুলোর (সুরমা, কুশিয়ারা, ভোগাই-কংস, ধনু-বাউলাই, মনু, খোয়াই) পানি সমতল কতিপয় পয়েন্টে সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নদ-নদীর পানি কিছু স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং সিলেট জেলার নিম্নাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।