ভোলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নে চরআনন্দ গ্রামে এক পুলিশ সদস্যের বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে তার প্রেমিকা অনশন শুরু করেছে। গত তিন দিন ধরে ওই গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে শারমিন নামের ১৮ বছরের ওই মেয়ে পুলিশ সদস্য মো: আকরামের ঘরে অবস্থান করছে।
আজ সোমবার সকালেও ওই তরুণী পুলিশ সদস্যের বাড়ি অবস্থান করছিল।
শারমিনের দাবি, গত ৫ বছর ধরে বিয়ের কথা বলে তার সাথে মো: জাহাঙ্গিরের ছেলে পুরিশ সদস্য আকরাম প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে এক পর্যায়ে স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানদের সাহায্যে তাদের বিয়ের বিষয়ে লিখিত চুক্তি হয়। কিন্তু এখন ওই পুলিশ সদস্য তাকে বিয়ে করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে শারমিন ওই পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অনশন করছে। বিয়ে না করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
এদিকে লিখিত চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদস্য আকরামের বড় বোন ও ছোট ভাই জানান, শারমিনের বাড়ির পাশে আকরাম তার বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেলে শারমিনের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বারেক মেম্বার, কামাল, মেম্বার এবং হাসান চেয়ারম্যান জোড় করে তাদেরকে বিয়ের চুক্তি নামায় সাক্ষর করায়। প্রেমের সম্পর্ক হলে জোড় করার কোন দরকার ছিল না বলেও জানান তারা।
তবে এব্যাপারে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছনাইন আহমেদ হাছান মিয়া জানান, এমন কোন বিষয় তার জানা নেই। আর এসব ঘটনায় তিনি কোথাও উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে জানার জন্য পুলিশ সদস্য আকরারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে আকরামের দুলাভাই ফজলু জানায়, মেম্বার-চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদে বিয়ের ব্যাপারে কথা চলছে। পুলিশের চাকরিতে সমস্যা হতে পারে তাই বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখা হবে বলেও তিনি জানান।