জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের শাহাদাৎ বরণ করা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনেকেই ব্যানার পোস্টার লাগিয়েছেন।
কিন্তু এসবের বেশিরভাগের উপস্থাপনা যতটা না শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে, তারচেয়ে বেশি আত্মপ্রচারের জন্য বলে মনে হয়। এসব পোস্টার ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর চেয়ে বড় করে দেখানো হয়েছে নিজেদের ছবি। তবে ব্যতিক্রমও আছে।
জাতীয় শোক দিবসে ১৫ই আগস্টের শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুরো রাজধানী জুড়েই লাগানো হয়েছে পোস্টার ব্যানার। কিন্তু এসবের বেশিরভাগ দেখেই ধন্ধে পড়ে যেতে হয়। প্রশ্ন আসে আসলেই কি শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে লাগানো হয়েছে এগুলো? বঙ্গবন্ধুর চেয়ে সেখানে মূখ্য হয়ে উঠেছে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের ছবি।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বারবারই শোকদিবসে আত্মপ্রচার না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। নেতারা বলেন,'আমাদের দলের ব্যানার, ফেস্টুন, পোষ্টারে কোন ভাবেই যাতে শোক দিবসের বেদনার বিপরীতে আত্মপ্রচারের বিষয়টি যাতে গুরুত্ব না পায় সে জন্য আমরা দলীয় নেতা কর্মীদের বলেছি।কোনভাবেই নিজেদের ছবি যেন তারা ব্যবাহার না করেন।'
অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে। কারও কারও উপস্থাপনায় নেই কোনো আত্মপ্রচার।যেমন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তুলে ধরে শোক দিবসের ব্যানার করেছে। এসব ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ের ছবির পাশাপাশি তাঁর বাণী ও বক্তব্যকে উপস্থাপন করা হয়েছে।সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, বাংলাদেশের নামকরণ সহ বিভিন্ন ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে।