দশমী তিথিতে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের কারণে এর আগে মণ্ডপগুলোতে স্বল্প পরিসরে চলে সিঁদুর খেলা আর আনন্দ-উৎসব। চলে মিষ্টিমুখ, ছবি তোলা আর ঢাকের তালে তালে নাচ-গান।
এবার, গজে চড়ে মর্ত্যলোক থেকে দশভুজা দেবী বিদায়। তাই শেষবারের মতো মন্ত্রপাঠ আর উলুধ্বনিতে দেবী বন্দনা। দোলায় চড়ে এসেছিলেন দেবী দুর্গা। ঢাক-ঢোল-শঙ্খ আর ধুপ ধুনোয় তার আরাধনায় মগ্ন ছিলেন ভক্তরা।
প্রতি বছর বিজয়া শোভাযাত্রার মধ্য দিয়েই চলে প্রতিমা বিসর্জনের পর্ব। কিন্তু এবার করোনা সংক্রমণের কারণে শঙ্খ আর উলুধ্বনি, খোল-করতাল-ঢাকঢোলের সনাতনী বাজনার সঙ্গে দেবী-বন্দনার গানে ভাটা পড়ে। বন্ধ করে দেয়া হয় আনন্দ শোভাযাত্রা।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের আগেই ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে প্রতিমার প্রতীকি বের করা হয়। পলাশীর মোড় থেকে পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে সদরঘাটের ওয়াইজঘাটের বিনা স্মৃতি স্নানঘাটে প্রতিমা প্রথম বিসর্জন দেওয়া শুরু হয়। প্রতিমা বিসর্জন চলে আশুলিয়ার তুরাগ নদীতেও।
মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয় পাঁচদিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এবার সারা দেশে ৩০ হাজার ২৫৮টি স্থায়ী ও অস্থায়ী মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।