প্রতি বছর বিদেশ থেকে চার লাখ দক্ষ কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি কর্মী সংকট কাটাতে দেশটির নবগঠিত কোয়ালিশন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এছাড়াও দেশটিতে জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখতেও এই সিদ্ধান্ত ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। এফডিপি দলের নেতা ক্রিস্টিয়ান দ্যুর জানিয়েছেন, দক্ষ কর্মীর সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতির নাটকীয় অবনতি ঘটছে। তাই বিদেশি কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ইমিগ্রেশন পলিসির পরিবর্তনের কথাও জানিয়েছেন তিনি। বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টিসহ এফডিপি ও গ্রিন পার্টির নেতারা ইউরোপের বাইরের দেশগুলো থেকে কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছেন। দেশটিতে কর্মীদের আকর্ষণে মজুরি বৃদ্ধিরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জার্মানিতে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের শরিক এফডিপির সংসদীয় নেতা ক্রিস্টিয়ান ড্যুর বিজনেস ম্যাগাজিন ভির্টশাফটসভকে’কে বলেন, জার্মান অর্থনীতিতে দক্ষ কর্মীর অভাব মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। তাই নতুন অভিবাসন নীতির মাধ্যমে সেই অভাব পূরণ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব দেশের বাইরে থেকে চার লাখ দক্ষ কর্মী আনার লক্ষ্য আমাদের।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের এসপিডি দল সবুজ ও এফডিপি দলের সঙ্গে জোট গড়তে যে চুক্তি করেছিল, তাতে কর্মীদের ন্যূনতম বেতন প্রতি ঘণ্টায় ১২ ইউরো (১ হাজার ১৭২ টাকা প্রায়) করার কথা রয়েছে। এছাড়া, পয়েন্ট সিস্টেম চালু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে দক্ষ কর্মী নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
জার্মান ইকোনমিক ইনস্টিটিউটের ধারণা, চলতি বছরে জার্মানিতে আরও তিন লাখ কর্মী কমে যাবে। দেশটিতে প্রতি বছর যত তরুণ কাজে যোগ দিচ্ছেন, সেই তুলনায় অনেক বেশি প্রবীণ অবসর নিচ্ছেন। ফলে ২০২৯ সালে এই ব্যবধান সাড়ে ছয় লাখে দাঁড়াতে পারে।
মহামারির মধ্যেও ২০২১ সালে জার্মানিতে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ নতুন চাকরিতে ঢুকেছে। তবে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশটিতে প্রায় ৫০ লাখ কর্মক্ষম লোকের ঘাটতি তৈরি হতে পারে।