গবেষণা ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার সম্ভব হয়েছে বলেই আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর আগায়গাঁওয়ে নির্মিত হলো জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স। দেশের বিজ্ঞানীদের একটি সুনির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম দিতেই নির্মিত হলো ১৩ তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন এই ভবনটি।
বৃহস্পতিবার, সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশে সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, গবেষণা ও প্রযুক্তি সঠিকভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হয়েছে বলেই আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ। জাতীয় পর্যায়ে দক্ষ বিজ্ঞানী তৈরিতে ফেলোশিপসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। দেশের শিক্ষার্থীদের আমরা অনুদান দিচ্ছি। বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি, সবই করছি। কিন্তু বিশেষ করে জোর দিয়েছি বিজ্ঞানের ওপর। বিজ্ঞান গবেষণায় যাতে সবাই এগিয়ে আসে তার জন্য আলাদাভাবে ফেলোশিপ দেয়া হচ্ছে। এমফিল, পিএইচডি, পিএইচডি উত্তর পর্যায়ে ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের ফেলোশিপ প্রদান করা হচ্ছে। যেসব দেশ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে তারাই অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত উন্নতি করতে পারছে। আমাদের উন্নতি করতে হলে অবশ্যই বিজ্ঞান গবেষণা একান্ত প্রয়োজন।
এ সময় ৭৫ এর পর ক্ষমতায় আসা সরকার, বিজ্ঞানের উপর জোর না দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজেদের কাজে ব্যবহার করে এমন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতেই তারা বেশি সচেষ্ট ছিল।
বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকা দেশীয় সম্পদ কিভাবে মানুষের কাজে লাগানো যায় তা নিয়েও গবেষণা করার উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। গবেষণালব্ধ জ্ঞান নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলছে, মর্যাদা পাচ্ছে, এমন দিন আগে ছিল না, অসম্ভবকে সম্ভব করেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
এসময়, ওমিক্রনের সংক্রমন রোধে সবাইকে টিকা নেয়ার পাশাপাশি সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, একটা জিনিস সবাই একটু লক্ষ্য রাখবেন নতুন আরেকটা ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টটা দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং একেকটা পরিবারসহ আক্রান্ত হচ্ছে। এখানে আমি সবাইকে বলবো যে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা এবং ইতোমধ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছি সেই নির্দেশনাগুলো সবাই মেনে চলবেন। যারা টিকা নেন নাই, দ্রুত তারা টিকা নিয়ে নেবেন। আমাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরও টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। কাজেই টিকা নিলে অন্ততপক্ষে জীবনে বেঁচে থাকা যায়, এইটুকু হলো বাস্তব।