কেরাণীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় লাগা আগুনে দগ্ধ আরও ১০ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন।
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে কারখানার আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জন হয়েছে। চিকিৎসাধীন ১৮ জনের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। আর দগ্ধ ৩৪ জনকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হলে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। দগ্ধ ২১ জনের মধ্যে ৫ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর ঢাকা মেডিক্যাল কলজে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৫ জন। বাকি একজনকে পরিবারের ইচ্ছায় অন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আহতদের চিকিৎসার ব্যয় প্রধানমন্ত্রী বহন করছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কারখানাটির অনুমোদন ছিল না। এমনকি, সারাদেশে এসব বিষয় তদারকির জন্য জনবলের অভাব রয়েছে বলেও জানান ডা. এনামুর রহমান।
পরে, বেলা ১১টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। এ সময়, কারখানা মালিকের উদাসীনতাকে দায়ী করে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করার দাবি জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর নিয়ম না মেনে তৈরি করা কারখানাগুলোতে ফায়ার সেফটির দিকে কোনো নজর দেয়া হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময়, কারখানাগুলোকে সরিয়ে নেয়ার কথাও জানান তিনি।
এদিকে, এ ঘটনায় কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। এছাড়া, শ্রম মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিস দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বুধবার বিকেল চারটার দিকে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটসহ ক্রাউড কন্ট্রোল টিমের সদস্যরা দীর্ঘ ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কারখানার ভিতরে দুই থেকে আড়াইশ শ্রমিক কাজ করছিলো। দ্রুত বহির্গমনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। এর আগেও, এই কারখানায় তিনবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।