করোনার থাবা পেছনে ফেলে ৫ জুলাই অস্ট্রিয়ায় প্রথম রেইস। ২য়টা পরের সপ্তাহেই তবে একই দেশের অন্য ট্র্যাকে। ২২ টা রেইস হওয়ার কথা থাকলেও করোনায় সংখ্যাটা কমছে। ইতিমধ্যেই চারটা বাতিল হয়েছে, চারটা আছে স্হগিত।
মরচে ধরে যাওয়া গাড়িগুলো চলতে শুরু করেছে। অপেক্ষার প্রহর শেষ। পর্দা উঠতে যাচ্ছে ফর্মুলা ওয়ানের নয়া মৌসুমের।
করোনায় সব কিছুই বদলে গেছে। চলতি মৌসুম সাক্ষী হবে অনেক প্রথমের। এর আগে এক মৌসুমে এক দেশে কখনই হয় নি ২টি রেইস। শুধু তাই না, অস্ট্রিয়ায় হতে যাওয়া রেইস দুটোতেই থাকছে না কোন দর্শক। পরের সপ্তাহে হাঙ্গেরিতেও দর্শক থাকার সম্ভাবনা নাই।
যথারীতি দশ দলের বিশ ড্রাইভার অংশ নেবে চলতি মৌসুমে। ফেভারিট নিশ্চিতভাবেই ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন লুইস হ্যামিল্টন। আরেকটা জিতলেই যিনি ছুয়ে ফেলবেন মাইকেল শুমাখারের রেকর্ড।
চ্যাম্পিয়ন হবার প্রসঙ্গে লুইস হ্যামিল্টন বলেন, “চেষ্টা করে যাব আরও শিরোপা জিততে। কাজটা সহজ নয় মোটেও। প্রতি বছর প্রতিদ্বন্দীতা বাড়ছে। এই মৌসুমে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই রেইস আছে। সিজনটা সব চেয়ে চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে।“
ফেরারির সাথে এই বছরই চুক্তি শেষ হতে যাওয়া চারবারের চ্যাম্পিয়ন সেবাস্টিয়ান ভেটেল প্রস্তুত হ্যামিল্টনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে।
সেবাস্টিয়ান ভেটেল বলছেন, “দর্শকদের নিশ্চিতভাবেই মিস করব। তাদের ছাড়া রেইস করাটা সত্যিই দুঃখজনক। আশা করি তারা টিভিতে দেখবে আর পরিস্হিতি ঠিক হলে দ্রুতই গ্যালারিতে আসবে।“
১৫ থেকে ১৮টা রেইস হতে পারে চলতি মৌসুমে যার প্রথম দুইটা পর পর দুই সপ্তাহে হবে অস্ট্রিয়ায়। শেষটা ডিসেম্বরে...আবু ধাবিতে।