বাংলাদেশ, রাজধানী, শিক্ষা

ফোনালাপ ফাঁস ষড়যন্ত্রের অংশ: ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ২৭শে জুলাই ২০২১ ১০:০১:৫০ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের ভাইরাল হওয়া একটি ফোনালাপকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করেছেন অধ্যক্ষ কামরুন নাহার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই বক্তব্য নিয়ে সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। একইসাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন করতে একটি মহলের চেষ্টার জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, অধ্যক্ষের অপসারণের দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ফোরাম।

করোনা মহামারীর মধ্যেই চলতি বছরের শুরুতে রাজধানীর ভিকারুন নুন নিসা স্কুলের দায়িত্ব নেন অধ্যাপক কামরুন নাহার। এরপর থেকেই স্বনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে কলুষমুক্ত করতে শুরু করেন শুদ্ধি অভিযান।

এরই ধারাবাহিকতায় গেলো চার এপ্রিল স্কুলের গভনিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি সিদ্দিকী নাসির উদ্দিনকে উন্নয়নের নামে নেয়া এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা ফেরত চেয়ে চিঠি দেন অধ্যক্ষ কামরুন নাহার।

এর আগে মার্চের ৩ তারিখ প্রথম শ্রেনী, দ্বিতীয় শ্রেনী এবং নবম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য চিঠি দিয়ে নিজেদের জানান দেন অভিভাবক ফোরামের সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার এবং উপদেষ্টা শাহাবুদ্দিন টিপু। একইমাসে ভর্তি উপ কমিটির আহবায়ক মনিরুজ্জামান গভনিং বডির সভাপতিকে অনুরোধ করে শূন্য আসনে ভর্তির সুপারিশ করেন।

এসব নিয়েই চলছে কয়েকমাসের রেষারেষি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বের হয় মোবাইলে কথোপকথনের অডিও ক্লিপ। যা নিয়ে তোলপাড় অনলাইন প্লাটফর্ম।

অভিবাবকরা দাবি করছেন, জুন মাসের শুরুতে ধারণ করা এই বক্তব্য ভিকারুন নুন নিসা স্কুলের প্রিন্সিপালের। অনেকের প্রশ্ন, স্বার্থের দ্বন্দ্বের কারণেই কি আগের বক্তব্য ভাইরাল?

ভিকারুননিসা নুন স্কুল ও কলেজ অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর শাহাবুদ্দিন টিপু বলেন,'আসলে ছাড়ার ইচ্ছা ছিলো না। উনি যে এই ভর্তি সংক্রান্ত ব্যাপারটায় আমাকে জড়িয়েছেন। সবার সঙ্গে আমরা একটা বাকবিতন্ডা হয়েছে পরবর্তিতে আমি মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়লাম। তিনি আমাকে সাইজ করার চেষ্টা করেছেন। তাই বাধ্যহয়ে এই কথোপকথটা আমি প্রকাশ করছি।'

ভিকারুননিসা নুন স্কুল ও কলেজ অভিভাবক ফোরামের সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার রানা বলেন,'ভর্তি নিয়ে যদি কোন চাপ থাকে। অভিভাবক ফোরামেন নামে দুই চার দশ বছরের মধ্যে কোন ভর্তি আছে কিনা? যদি থাকে তবে সংগঠন, রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ থাকলো। আমরা চলে যাবো।'

এদিকে, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ দাবি করেছেন ফাঁস হওয়া বক্তব্যটি তার নয়। যা কিনা ষড়যন্ত্রের অংশ। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের এ নিয়ে বিব্রত না হতে আহবান জানান তিনি।

ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহার বলেন,'যে অডিওটা প্রকাশ হয়েছে সেটা নিয়ে আমি নিজেও খুব বিব্রত। আমি একাজের সঙ্গে যুক্ত না। এখানে ভিখারুন্নিসার সুনাম খুন্ন হয়েছে। এখানে প্রিন্সিপাল আমি শুধু একটা প্রতীকি মাত্র। এখানে মূল সন্মানটা প্রতিষ্ঠানের যারা প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকায় না। তারা আসলে প্রতিষ্ঠানের মূল শত্রু।'

স্কুল ক্যাম্পাসে গরুর হাট বসানোর অনুমতি তিনি দেননি বলে দাবি করেন অধ্যাপক কামরুন নাহার। ভর্তি নিয়ে অভিভাবকদের দাবি মেনে না নেয়ায় বিভিন্নভাবে হুমকিধামকি দেওয়া হয়; এমনকি হামলাও করা হয় বলে জানান তিনি। যারা প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্টের চেষ্টা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান অধ্যক্ষ কামরুন নাহার।

আরও পড়ুন