পুষ্টিগুণে ভরপুর, মরুভূমির জনপ্রিয় ফল ‘ত্বিন’। মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম এশিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলেও দেশে ড্রাই ফুড হিসেবে আমদানি করা হয়ে থাকে। দেশে অনেকে এই ফলের বাণিজ্যিক চাষের উদ্যোগ নিচ্ছেন। তারমধ্যে বগুড়ার সোয়েব সাদিক অন্যতম সফল একজন। প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে রপ্তানি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
করোনা মহামারি ও বিধিনিষেধের সময় সিঙ্গাপুরে চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে আসেন বগুড়ার সোয়েব সাদিক। গ্রামের বাড়িতে ফিরে সুমিষ্ট ও রসালো ফল ত্বিন চাষের উদ্যোগ নেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে থাকার সময় তুরস্কের যুবক আলীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় সোয়েবের। তার মাধ্যমে সংগ্রহ করেন টিস্যু কালচার করা ৩৫০টি ত্বিনগাছের চারা। পরে গাজীপুরের মডার্ন অ্যাগ্রো ফার্ম অ্যান্ড নিউট্রিশন থেকে সংগ্রহ করেন আরো ২৫০টি কলম চারা।
পরে শাজাহানপুর উপজেলার করতোয়া নদীর তীরে দুই বিঘা জমিতে গড়ে তোলেন ত্বিন বাগান। তিন মাসেই ৬শ'টি গাছের ত্বিন বাগান ভরে ওঠে ফলে ফলে। অল্প সময়ে তার সফলতায় ত্বিন চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন স্থানীয় বেকার যুবক ও কৃষকরা।
কেবল ত্বিনই নয়, একই জমিতে সোয়েব চাষ শুরু করেছেন চায়না কমলা, মাল্টা, সুন্দরী কুল এবং অ্যালোভেরার চাষ।
উদ্যোক্তা সোয়েব সাদিক বলেন, ত্বিন গাছটা মূলত ৩০ বছর পর্যন্ত এটার স্থায়িত্ব থাকে। প্রথম বছরে ৩-৪ কেজি ফল পাব। পরের বছর ১০ কেজি ফল পাওয়া যাবে। প্রতি বছর গাছ যত বড় হবে ততই ফলন বাড়বে।
রপ্তানি যোগ্য ত্বিন ফল চাষে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কৃষি বিভাগের।
শাজাহানপুরের কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, প্রযুক্তিগত যে সহায়তাগুলো আছে রোগবালাই ও পরিচর্যার সেই বিষয়গুলোর বিষয়ে কৃষি বিভাহ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
একশ' বছর পর্যন্ত বাঁচে ত্বিন গাছ। ফল দেয় প্রথম বছর থেকে ৩৪ বছর পর্যন্ত। প্রতি বছরই কয়েক গুণ করে বাড়তে থাকে এই ফলের পরিমাণ। গাছপাকা এক কেজি ত্বিন ফলের গড় বাজারমূল্য ১ হাজার টাকা।