বগুড়ায় ভোজ্যতেল নিয়ে সংকটে ক্রেতারা। সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধিতে পাম ওয়েল কিনতে গিয়েও মিলছে না স্বস্তি। এমন পরিস্থিতির জন্য মিল মালিক ও সিন্ডিকেটকে দুষছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রশাসন জানায়, বাজার নিয়ন্ত্রণে চলছে নিয়মিত অভিযান। তবে, ভোক্তারা বলছেন, নামমাত্র অভিযান নয়, প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ।
সয়াবিনের দাম বেড়ে যাওয়ায় পামওয়েলে চলতো দিন। সেই পামওয়েলও যখন হাতের নাগালে থাকছে না, তখন এমন অসহায়ত্মই প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ।
বগুড়ার ফতেহ্ আলী, রাজা বাজার, বউ বাজারসহ ছোট-বড় বাজারে গেল দুই সপ্তাহে সয়াবিনের বদলে পামওয়েলের ক্রেতা বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু, তাতেও বিপত্তি ঘটায় চরম সংকটে ভোক্তারা।
এদিকে ছোট মুদি দোকানিরা নিজেরাই কিনতে পারছেন না সয়াবিন তেল। সেই চাপ বাজারগুলোতে পড়ায় তীব্র হয়েছে সংকট।
মুদি দোকানিরা বলেন, 'বাজার তদারকি করে না। তদারকি করলে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে থাকতো এখন। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলে তো লাভ নাই। বাজার তদারকি করার তো লোক খুব কম।'
এদিকে, এমন পরিস্থিতির জন্য ব্যবসায়ীরা দুষছেন মিল মালিক আর সিন্ডিকেটকে।
বগুড়া রাজাবাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, 'কিছু কিছু কোম্পানি আছে যারা প্রায় সময়েই তেলের সঙ্গে কিছু কিছু পণ্য কিনতে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। আবার অনেক সময় দেখা গেছে বোতলজাত তেলের দাম বেশি থাকায় খোলা তেল বিক্রি করছে অনেকে। এতেও সংকট তৈরি হয়েছে।'
এদিকে প্রশাসন বলছে, কোন অবস্থাতেই তেলের দাম নিয়ে কারসাজি চালাতে দেয়া হবে না।
বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সালাহ্উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'রমজান মাস পার করে আসছি আমরা। তখন বাজার দাম নিয়মিত মনিটরিং হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির পাশাপাশি তেলেরও মনিটরিং হয়েছে। এটা এখনও অব্যাহত আছে।'
মাঠপর্যায়ে প্রশাসনের কিছু তৎপরতা থাকলেও বগুড়ায় এখনো সক্রিয় হয়ে ওঠেনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর পদক্ষেপের দাবি স্থানীয়দের।