রাজনীতি, জেলার সংবাদ

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে নেই ত্যাগীরা

রাকিব জুয়েল

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ২৭শে নভেম্বর ২০২০ ০৮:৫১:৩০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আওয়ামী লীগের বগুড়া জেলা কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পাঠানো আলাদা দুটি তালিকার সমন্বয়ে ৭১ সদস্যের জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয় ২৩শে নভেম্বর। যেখানে ৩০ জনই আছেন পূর্বপদে। নতুন কমিটিতে জায়গা হয়নি অনেক ত্যাগী নেতার। আন্দোলন-সংগ্রামতো দূরের কথা, রাজনীতিতে পা দিয়েই কেউ কেউ পেয়ে গেছেন জেলা কমিটির সদস্যপদ। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের বগুড়া জেলা কমিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনায় সরব হয়ে উঠেছে বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীরা। অভিযোগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগের গন্ডি না পেরিয়েই অনেকে ঢুকে পড়েছে জেলা কমিটিতে।    

বিএনপি ঘাঁটি থেকে বগুড়াকে আন্দোলন সংগ্রামে যারা আওয়ামী লীগের জন্য জায়গা তৈরি করেছেন, তাদের জায়গা হয়নি কমিটিতে। নেতাকর্মীরা জানায়, যদি এই অবস্থা চলতে থাকে তাহলে এগুলো দলের জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে। যারা এখনো ছাত্রলীগ,যুবলীগের রাজনীতির গন্ডি থেকে বের হয়নি তাদেরকেও জেলা কমিটিতে জায়গা দেয়া হচ্ছে। ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে অর্থের মাধ্যমে যাতে কমিটি দেয়া না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।

বগুড়ায় নারী নেতৃত্বের সূচনা যাদের হাতে, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে পাড়ায় মহল্লায় ঘুরে ঘুরে যারা তিলে তিলে অর্জন করেছেন নারীদের সমর্থন তাদেরও জায়গা হয়নি কমিটিতে।

বগুড়া মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া নিগার সুলতানা বলেন, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড সবকিছু গুছিয়ে নিয়েই কমিটি দেয়া হয়েছে কিন্তু আমরা কিছুটা হতাশ। আরও কিছু মহিলা কর্মীদের যদি কমিটিতে সংযুক্ত করা যেত তাহলে ভালো হতো।

নানা কারণে কমিটি মেনে নিলেও আগামীতে নেতৃত্ব শূন্যতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় নেতারা।

বগুড়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম মন্টু বলেন, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার জন্য যে যোগ্যতা সম্পন্ন লোক হওয়া দরকার তার কিছুটা হলেও ব্যত্যয় ঘটেছে বলে আমি মনে করি।

১৯৯৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্বে থাকা  মমতাজ উদ্দিনের মৃত্যুর পর জেলা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দন প্রকাশ্যে আসতে থাকে।

আরও পড়ুন