ফাইনালে টিম পারফরমেন্সে গুরুত্ব দিচ্ছে দুই দলই।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুক্রবার শিরোপা লড়াই। প্রথম কোয়ালিফায়ারে যে রাজশাহীকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল খুলনা টাইগার্স, শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইটাও তাদের সাথেই। মিরপুর শেরে বাংলাদেশ স্টেডিয়ামে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় মুখোমুখি হবে দুদল। তবে যে দলই শিরোপা ঘরে তুলুক, বিপিএল পাচ্ছে নতুন চ্যাম্পিয়ন।
ট্রফি হাতে মুশফিকের চওড়া হাসিই বলে দেয়, ওটা জিততে দারুণ আত্মবিশ্বাসি খুলনা টাইগার্স ক্যাপ্টেন। ট্রফি উন্মোচনের আনুষ্ঠানিকতায় হাজির থাকলেও ফাইনালের আগেরদিন গণমধ্যমের মুখোমুখি হননি মুশফিক। তার জায়গায় ছিলেন দলের ইংলিশ কোচ জেমস ফস্টার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজশাহী রয়েলস ক্যাপ্টেন আন্দ্রে রাসেল যে খেল দেখিয়েছেন, তাকে সামলাতে আলাদা গেমপ্ল্যান তো দরকার হতেই পারে। অবশ্য খুলনা কোচের ভাবনাটা ভিন্ন।
খুলনা টাইগার্সের কোচ জেমস ফস্টার বলেন, 'শুধু রাসেলকে নিয়ে নয়, রাজশাহীর ১১ জনের জন্যই আমরা গেমপ্ল্যান সেট করেছি, যেমনটা অন্যান্য ম্যাচেও করি। আমাদের ব্যাটিংলাইনটা ভালো। প্রথম সাতজন ব্যাটসম্যানই পুরো আসরে নিজেদের প্রমান করেছে। বোলিংলাইনও খারাপ নয়, আশা করছি সেরাটা খেলাটাই দিতে পারবে তারা।'
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন বলতে গেলে একাই ভেঙেছেন আন্দ্রে রাসেল। তবে ফাইনাল ম্যাচে কোনো ওয়ানম্যান শো চাননা রাজশাহী ক্যাপ্টেন। প্রথম কোয়ালিফায়ারে খুলনার কাছে হারতে হয়েছিল। তবে ফাইনালে জয়ের ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসি তারা।
রাজশাহী রয়েলসের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল বলেন, 'আমরা দল হিসেবে খেলতে চাই। ফাইনাল ম্যাচে যেকেউ হতে পারে ম্যাচ উইনার। আমরা যে পারি সেটা আগের ম্যাচেই প্রমাণ করেছি। তবে টসটা হবে গুরুত্বপূর্ন। যদি আগে ব্যাট করতে পারি অবশ্য ১৭০-এর ওপরে স্কোর রাখার চেষ্টা থাকবে।
বড় টার্গেট সেট করতে পারলেও সস্তিতে থাকার উপায় নেই রাজশাহীর। কারণ ক্যাপ্টেন মুশফিক-নাজমুল হোসেন শান্তরা দারুণ ফর্মে। বল হাতে মোহাম্মাদ আমির-রবি ফ্রাইলিঙ্করাও নিতে পারেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। অন্যদিকে রাজশাহীর রাসেল-শোয়েব মালিক-লিটন দাসরা নিজেদের নিজেদের দিনে সামলাতে জানেন সবকিছুই।