ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিতে এ পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি শহর। জার্মানি, বেলজিয়াম ও তুরস্কে অন্তত ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিখোঁজ রয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া বন্যার পানিতে বেশ কয়েকটি শহরে ভবন বিধ্বস্ত হওয়ায় বাড়িঘরে আটকা পড়েছেন অনেকে। চারিদিকে ধ্বংসস্তুপ। লণ্ডভণ্ড অসংখ্য বাড়িঘর। রেকর্ড বৃষ্টিতে সড়কে গাছ উপড়ে বন্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
জার্মানিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাইনল্যান্ড পালাটিনেট এবং নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া। বেশ কয়েকটি শহরে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে অনেক বাড়িঘর আর গাড়ি। বন্যার ছোবলে এখনও নিখোঁজ অনেকে। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে চলছে অভিযান।
স্থানীয়রা বলেন, এখানে যারা আছে তারা সবকিছু হারিয়েছে। এখানে যা ছিল সবই পানিতে ভেসে গেছে। ভয়ঙ্কর, অকল্পনীয়। ১৯৬৬ সাল থেকে এখানে বাস করি। কখনোই এমন কিছু দেখি নি। পানির এমন দাপট প্রথমবার দেখলাম।
বেলজিয়ামের পশ্চিমাঞ্চলেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক শহর। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর থেকে সহস্রাধিক বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না থেকে বের না হতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
নেদারল্যান্ডসের লিমবার্গ প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলেও ক্ষয়ক্ষতি অনেক। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বন্ধ হতে পারে এমন আশঙ্কায় ভালকেনবার্গ শহরে বেশ কয়েকটি বৃদ্ধাশ্রম থেকে আটকেপড়া উদ্ধার করেছে পুলিশ।