জেলার সংবাদ

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির মধ্যেই তীব্র নদীভাঙন

শামীম আহমেদ

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ৬ই জুলাই ২০২০ ০৯:৪৪:৫৮ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

গাইবান্ধা, জামালপুর, টাঙ্গাইল ও কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও বেড়েছে দুর্ভোগ। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন বন্যার্তরা। একইসঙ্গে তীব্র হয়েছে টাঙ্গাইলের যমুনা, ঝালকাঠির বিষখালীসহ বিভিন্ন নদীর ভাঙন।

টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। নতুন করে ভাঙনের কবলে পড়েছে কালিহাতীর গোহালিয়াবাড়ি, নাগরপুরের সলিমাবাদ এবং ভূঞাপুরের অর্জুনা, গাবসারা ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু পূর্ব প্রান্তের সেতু রক্ষা দ্বিতীয় গাইড বাঁধ ও দেলদুয়ার এলাকার ঘোনারপাড়া-পাখরি রক্ষা বাঁধ।

এদিকে, ঝালকাঠির বিষখালী নদীর ভাঙনে মঠবাড়ী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গছে। হুমকির মুখে রয়েছে বড়ইয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কয়েকটি বাজার, বসতবাড়ি, মসজিদসহ অসংখ্য স্থাপনা ও ফসলি জমি।

অন্যদিকে গাইবান্ধায় পানি কমছে, তবে তীব্র হচ্ছে নদী ভাঙন। এখনো পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে আছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেয়ারা।

এছাড়া, জামালপুরে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও, নদী তীরবর্তী বসত বাড়ি এখনো পানির নিচে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় এখনো বন্ধ যোগাযোগ।

আর, কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলার পানি কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

তাছাড়া, মাদারীপুরে ভাঙনের পর গত কয়েকদিন ধরে পদ্মার পানি বাড়ায় শিবচরের বন্দরখোলা, চরজানাজাত ও কাঠালবাড়ী ইউনিয়নে চরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি পানিবন্দি রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। এখনো কোনো সহায়তা না পাওয়ায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে বন্যা ও ভাঙন কবলিতরা।

আরও পড়ুন