জেলার সংবাদ, নারী

বাইসাইকেল পেয়ে উচ্ছ্বসিত নারী শিক্ষার্থীরা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ২রা জুন ২০২১ ০৮:০৮:২৮ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

নারী শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে রাজনগরে ৪০ জন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর নারী শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বাইসাইকেল। যা পেয়ে উচ্ছ্বসিত নারী শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২ জুন) রাজনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানিকভাবে বাইসাইকেল বিতরণ শুরু হয়। মোট ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪০টি বাইসাইকেল শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। রাজনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল এর সভাপতিত্বে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারী শিক্ষার্থীদের হাতে সাইকেল তুলে দেন প্রধান অতিথি মৌলভীবাজার-৩ আসনের  সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।

এসময় তিনি বলেন, এই বাইসাইকেলের মাধ্যমে অনেকগুলো সূচক একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়া যায়। প্রতিদিন বাইসাইকেলে চড়ে আসা-যাওয়া করলে মেয়েরা শারীরিকভাবে সক্ষমতা অর্জন করবে। অনেক ছাত্রীই এই বাইসাইকেল চালানো উপভোগ করবে। অনেক অভিভাবক তাদের মেয়েদের বাইসাইকেল কিনে দিতে আগ্রহী হবেন। শিক্ষার অগ্রগতিতে নারীর ক্ষমতায়ন বাড়বে। এ উদ্যোগ চলমান রয়েছে, পর্যায়ক্রমে উপজেলার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরো সাইকেল বিতরণ করা হবে।

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীয় কার্যালয়ের হতে বাস্তবায়নাধীন সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত বিশেষ এলাকার উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্রগ্রাম ব্যতীত) শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়। এসময় অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, প্যানেল চেয়ারম্যান মুক্তি চত্রুবর্তী।

রাজনগর উপজেলায় নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে চা শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তারা পড়ালেখা করেন। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের আবাসস্থল চা বাগানের দূরত্ব বেশি হওয়ায় তারা দীর্ঘদিন থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন, পাশাপাশি ঝরে পড়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝরে পড়া রোধে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত যাতায়াতের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ গ্রহণ করে।

চা শ্রমিক কন্যা প্রমিতি দেশওয়ার জানান, প্রতিদিন তিন কিলোমিটার দূর থেকে আসতাম স্কুলে এরমধ্যে বেশিরভাগ পায়ে হেঁটে আসতে হতো, আজ সাইকেল পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি, কম সময়ে কষ্ট ছাড়া স্কুলে আসতে পারবো।

চা শ্রমিক শ্যামলাল কালোয়ার জানান, আমার মেয়ে বাগান থেকে অনেক কষ্ট করে স্কুলে আসতো। টাকার অভাবে নিয়মিত আসতে পারতো না। আমরা গরিব মানুষ, এতো টাকা পাবো কই। সরকার থেকে যে সাইকেল দেওয়া হইছে, আমরা খুশি হইছি। এখন আমার মেয়ে নিয়মিত স্কুলে যেতে পারবে।

আরও পড়ুন