বাংলাদেশ, জাতীয়, অর্থনীতি

বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের

Md. Shakil Sarder

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ১৬ই মে ২০২২ ০৮:৩৬:১৫ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

জ্বালানির দাম বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন তৈরি পোশাক খাতসহ শিল্প উদ্যোক্তারা। এজন্য আসন্ন বাজেটে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ জ্বালানি খাতে ভর্তুকি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

তবে ভর্তুকি বাড়ানোর চেয়ে রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের সাথে টাকার বিনিময় হার সমন্বয়ের ব্যাপারেই বেশি গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ জ্বালানী বিশ্লেষকের। 

করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধরে প্রভাবে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য পরিবহন ভাড়া, কাঁচামাল এবং জ্বালানির দাম বেড়েছে অনেক।

দাম বৃদ্ধির প্রভাবে এরই মধ্যে বিপাকে আছেন শিল্প উদ্যোক্তারা।  শ্রমিকদের বেতনসহ অন্যান্য খরচ মিটাতে হিমশমি খাচ্ছেন বলে জানান তারা।

অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রিজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফ আলী খান মঞ্জু বলেন, ’আমাদের এই যে বিদ্যুৎ বিল বাড়ছে, গ্যাস বিল বাড়ছে, লেবারদের রেট বাড়ছে, যাতায়াত বাড়ছে ইত্যাদি আমাদের নানা রকম ঝুটঝামেলা দেখিয়ে বায়ারদের যদি বলি যে আমাদের দুই ডলার বাড়িয়ে দেও। বায়ার কিন্তু তা দিতে যায়না। এতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।’

এজন্য শিল্পের স্বার্থে আসন্ন বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ এবং ভর্তুকি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

বিজিএমইএ পরিচালক খসরু চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যুৎ ১৪ টাকা চলে গেছে। আমরা শুনছি এটা আরও বাড়ানো হবে। আমরা বলতে চাচ্ছি যে এটাকে যদি ১০ টাকার নিচে চলে আসে তাহলে আমাদের একটা ভাল ফলাফল আসবে। মার্কেট টিকে থাকতে গেলে সেখানে আমাদের বিদ্যুতের ব্যাপারটাতে আমাদের একটা ছাড় দিতে হবে অবশ্যই সরকারের।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের প্রভাবে আর্ন্তজাতিক বাজারে এলএনজির দাম আরো বাড়তে পারে। যা দেশের জ্বালানি খাতকে আরো অস্থিতিশীল করবে। এজন্য বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের সাথে টাকার বিনিময় হার আরো বাড়িয়ে বাজারমূল্যের সাথে তা সমন্বয়ের পরামর্শ এই বিশ্লেষকের।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরূল ইমাম বলেন, ‘এলএনজির নিয়ে একটা টানাপোড়া হবে। বাংলাদেশ এখন ক্রমাগতভাবে এলএনজির উপর নির্ভরশীল হচ্ছে। সুতরাং, আগামী দিনগুলোতে জটিলতা এবং সংকট আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। এখন বিদ্যুৎ যথেষ্ট উৎপাদন হচ্ছে। সুতরাং, এখন সময় হচ্ছে যে, জ্বালানি অনুসন্ধানের উপর জোর দেয়া।’

অর্থ মন্ত্রনালয়ের তথ্যমতে, মূল্য সম্বনয় করা না হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতের জন্য আসন্ন অর্থবছরে ৩৫ হাজার ৩শ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে যা চলতি বছরের চেয়ে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি।

আরও পড়ুন