জেলার সংবাদ, অপরাধ

বাবার কাছে যেতে চাওয়ায় মেয়েকে হত্যা করল মা

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ৩রা মার্চ ২০২১ ০৩:১৮:৩১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

মেয়েকে মেরে মরদেহ মুক্তাগাছার একটি মসজিদের পাশে ফেলে পালিয়ে যান মা রুমা। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে ও আদালতের কাছে জবানবন্দিতে দায় স্বীকার করেন মা। মেরে ফেলার কারণ বাবার জন্য কান্নাকাটি ও বাবার কাছে যেতে চাওয়া।

জামালপুর সদরের চিথলিয়া সাইফুল ইসলাম (৩০) ও শিশুকন্যা সূচীকে ফেলে তিন বছর আগে জামালপুর থেকে বগুড়ায় চলে যান চম্পা বেগম ওরফে রুমা (২৬)। এরপর থেকে বগুড়া সদরের ঘুন্টিমোড় এলাকায় বসবাস করেনন রুমা। অন্যদিকে বাবা সাইফুল ও দাদির কাছে থেকেই বড় হচ্ছিল ছয় বছরের সূচী।

এক মাস আগে হঠাৎ রুমা বগুড়া থেকে জামালপুরে এসে কাউকে না বলে দাদির কাছ থেকে সূচীকে নিয়ে বগুড়ায় চলে যান। কিন্তু বাবাকে ছেড়ে বগুড়ায় থাকতে চায় না সূচী।
সবসময় কান্নাকাটি করত বাবার কাছে ফিরতে। এতে মায়ের হাতে তাকে একাধিকবার মারধরের শিকার হতে হয়। পাঁচদিন আগে আবার মারধর করলে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় সূচী। পরে বগুড়া হাসপাতালে ভর্তি করলে পরদিন তার মৃত্যু হয়। এরপর বাসযোগে মরদেহ নিয়ে ময়মনসিংহের মুক্তগাছায় একটি মসজিদের পাশে ফেলে পালিয়ে যান মা রুমা।

সোমবার (০১ মার্চ) ভোরে রুমাকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার (০২ মার্চ) আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন রুমা।

ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মুক্তাগাছার পাড়াটুঙ্গী রহিমা জান্নাতুল জামে মসজিদের পাশ থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তার পরিচয় পাওয়া যায়। ২৭ ফেব্রুয়ারি থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা সাইফুল ইসলাম। পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে রুমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ওসি শাহ কামাল আকন্দ আরো জানান, মঙ্গলবার ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজ আল আসআদের আদালতে হাজির করলে রুমা হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আরও পড়ুন