বাংলাদেশ, জাতীয়, রাজনীতি

'বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর উপায় হতে পারে কাউন্সিল'

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ১০ই আগস্ট ২০২০ ০৯:৪৭:১৬ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

দেড় বছর আগে শেষ হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ। পরিবর্তী কাউন্সিল নিয়ে আলোচনা নেই বিএনপিতে। নেতারা বলছেন, সময়মতো কাউন্সিল না হওয়ার পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন সুবিধাবাদীরা।

তাই তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত যোগ্য নেতৃত্ব বাছাইয়ে গঠনতন্ত্র মেনে কাউন্সিলের আহবান সর্বস্তরের নেতাদের। অন্যদিকে, বিএনপির মূল নেতৃত্ব বলছে, দলে সুবিধাবাদী থাকলেও বিএনপির রাজনীতি তাদের ওপর নির্ভরশীল নয়।

করোনা মহামারির কারনে স্থগিত বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম।  রাজনৈতিক পরিক্রমাও আটকে আছে ভার্চুয়াল জগতে।কিংবা  ঘরোয়া আয়োজনে।  তবে  এই সঙ্কট কাটিয়ে আবারো স্বাভাবিক  রাজনীতিতে ফেরার  অপেক্ষায় নেতা-কর্মীরা।  তারা মনে করেছন দলের সাংগঠনিক চাকাকে সচল করার অন্যতম  উপায় হতে পারে কাউন্সিল।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন ,'আমাদের দলের সকল নেতা-কর্মীদের দাবি জাতীয় কাউন্সিলের যে ধারাবাহিকতা সেটা যেন বজায় থাকে।'

এদিকে, বরিশাল জেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আহসান হাবিব কামাল জানান,'যারা সুবিধাভোগী তাদেরকে দল থেকে বের করে যারা ত্যাগী তাদেরকে যদি সঠিকভাবে পদায়ন করা হয়; আমার মনে হয় তাহলেই আন্দোলন বেগবান হবে।'

অন্যদিকে, বাগেরহাট জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি কাজী খায়রুজ্জামান শিপন জানান, 'কাউন্সিল করলে অনেকে সক্রিয় হবে। নেতা-কর্মীরা নতুন করে পদ পাবেন।'

বিএনপির সবশেষ ষষ্ঠ কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ।  গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০১৯ সালের মার্চেই শেষ হয়েছে বর্তমান কমিটির মেয়াদ।   পরবর্তী কেন্দ্রীয় কাউন্সিলসহ জেলা ও উপজেলা কমিটি নিয়ে দলের অবস্থান জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মহমুদ চৌধুরী বলেন,'করোনা কালিন সময়ে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত আছে। কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হবার পর, তৃণমূল থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবার পর কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হবে।'

তবে, কাউন্সিল নিয়ে ভিন্ন কথা বলছেন দলটির অন্য নেতারা।বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'কাউন্সিল করা বিএনপি'র কালচারে নেই। এটা হুকুম দেয়া হুকুম তামিল করা এভাবে চলছে।'

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন,'যারা দলের মধ্যে কলকাঠি নাড়ে তারাই হলো সুবিধাবাদী। এটাই বিএনপি'র ট্রাজেডি যে সুবিধাবাদীরাই দলকে নিয়ন্ত্রণ করে।'

দু:সময়ে গা বাঁচিয়ে চলা নেতাদের সম্পর্কে বিএনপি সতর্ক বলেও জানান দলটির অন্যতম এই নীতি নির্ধারক। আমির খসরু মহমুদ চৌধুরী আরও বলেন,'সুবিধাবাদী যদি কেউ থেকে থাকে এটা তাদের সমস্যা। তাদের ওপর নির্ভর করে দল চলে না।'

নেতারা বলেছন, করোনা পরিস্থিতেও নেতাকর্মীদের মনোবলে কোন চিড় ধরেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই দলকে ঢেলে সাজানোর কাজ পুরোদমে শুরু হবে বলেও জানান তারা। 

আরও পড়ুন