বিজয় দিবসের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। ৯ মে নাৎসিদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ৭৭তম বিজয় দিবস উপলক্ষে প্যারেডের মহড়ায় ব্যস্ত দেশটি।
এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে যেকোন শান্তি চুক্তি দখলকৃত অঞ্চলগুলোসহ পুরো ইউক্রেন থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার উপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এক বক্তব্যে মস্কোকে কূটনৈতিক আলোচনা শুরুর আহ্বানও জানান তিনি। অন্যদিকে, শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে আছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
এছাড়াও, রাশিয়া বিজয় দিবস কাছে আসতেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুতিনের আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণার খবর রটছে। যদিও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেয়া রাশিয়ার পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, যুদ্ধ ঘোষণার আশঙ্কা খুবই কম।
রুশ পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ টিমোফেই বোর্দাচেভ, দিনটি রুশদের জন্য আবেগের। আমি মনে করি, যুদ্ধ ঘোষণার যে তথ্য রটছে তা কেবল উসকানি। পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার উন্নয়নকে আটকাতে উত্তেজনা বৃদ্ধির সুবিধা নিচ্ছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি নির্ভরশীল ইউক্রেন স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
রাশিয়ার ২৮টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে এ বছরের সামরিক কুচকাওয়াজ। প্রায় ৬৫ হাজার সেনা, ২৪ হাজার ধরনের অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জামের পাশাপাশি ৪৬০টিরও বেশি যদ্ধবিমান অংশ নেবে এতে।
এদিকে, রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে খারকিভে প্রতিরোধ গড়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। সেখানকার প্রায় ৫টি গ্রামকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
এছাড়া, মারিওপোল আজভস্টাল স্টিল ওয়ার্কস থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।