বিপিএলের ক্যাপ্টেন্স ফটোসেশনে সাত অধিনায়কের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন ছয় জন।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের আরতো মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। এবার মারকাটারি মাঠের ক্রিকেটের পালা। মিরপুর শেরেবাংলায় প্রথম দিন থেকেই দুই ম্যাচ। কিন্তু, আগের দিন ক্যাপ্টেন্স ফটোসেশনে দেখা গেলে চরম অব্যবস্থাপনা। সাত অধিনায়কের জায়গায় মঞ্চে আসলেন ছয় জন। ছিলেন না রংপুরের ক্যাপ্টেন। আর ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফীর জায়গায় ফটো সেশনে আসেন মুমিনুল হক।
গেল ছয় আসরের ধারাবাহিকতা ভেঙে ফ্র্যাঞ্চাইজি বাদ দিয়ে সব নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখে বিপিএলের সপ্তম আসর সাজিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বঙ্গবন্ধুর নামে স্পেশাল এডিশন। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়েই কি দর্শকদের শান্ত রাখতে চাচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল? মাঠের ক্রিকেট জমজমাট না হলে বিপিএল আয়োজনের কোনো অর্থ আছে কি?
সালমান-ক্যাটরিনাকে নাচিয়ে সব পয়সা কি শেষ করে ফেলেছে ম্যানেজমেন্ট? তা নাহলে ক্যাপটেন্স ফটোসেশন একাডেমি মাঠে কেন? বিপিএলের আগের আসরগুলোতে এমন অব্যাবস্থাপনা চোখে পড়েছে কমই।
ফটোসেশনে সাত ক্যাপ্টেনের হাজির থাকার কথা থাকলেও ছিলেন ছয় জন। রংপুর রেঞ্জার্সের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর তালাশ নাই। আর, ঢাকার ক্যাপ্টেন মাশরাফীর জায়গায় মঞ্চে দেখা গেলো টাইগার টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। কেন এমন তালগোল?
এ বিষয়ে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'আজও প্রতিটা দলেরই অনুশীলন ছিল। সেজন্য কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে সময়মতো পৌঁছানোর ক্ষেত্রে। তাই একজনের জন্য দেরি না করে ফটোসেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।'
ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে অনিশ্চতায় পড়ে গিয়েছিলো বিপিএলের সাত নম্বর আসর। সেই শঙ্কার মেঘ সরিয়ে আলোর মুখ দেখেতে যাচ্ছে বিপিএল। অল্প সময়, আর নানা অব্যবস্থাপনায় টিম গঠন নিয়েই বিপাকে পড়ে দলগুলো। এখন সাধারণ ক্রিকেট ফ্যানদের একটাই প্রশ্ন একটা দায়সারা গোছের বিপিএল আয়োজনই গভর্নিং কাউন্সিলের লক্ষ্য?