বিপিএলে দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমি বৈষম্য নিয়ে আপত্তি ক্রিকেটারদের। সারা বছর পারফর্ম করার পর দেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকে পার্থক্য মেনে নেয়া কঠিন বলেই মন্তব্য করেছেন মুশফিকুর রহিম।
তবে পরের বিপিএল থেকে পারিশ্রমিকে আসবে ভারসাম্য, বিসিবির এমন আশ্বাসে কিছুটা স্বস্তিতে ক্রিকেটাররা।
সুপাস্টারের সংখ্যায় বেশ পিছিয়ে এবারের বিপিএল। তারপরও বিদেশি 'এ প্লাস' ক্যাটাগরির সবাইকে এক লাখ ডলারে দলে টেনেছে দলগুলো। কিন্তু এই ক্যাটাগরিতে দেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে মাত্র ৫০ লাখ টাকা। আপত্তিটা সেখানেই। আর সেটা খোলাখুলিভাবে প্রকাশও করলেন টাইগার স্কোয়াডে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
তিনি বলেন, "আমরা তিন ফরম্যাটে সারাবছর ধরে ধারাবাহিকভাবে খেলি। এতো পারফরমেন্স করে তারপরেও যদি এমন প্লেয়ার আসেন যারা ওয়ার্ল্ডওয়াইড হয় তো বেশি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটাই খেলে। তাদের পারিশ্রমিক যদি আমাদের যারা টপ প্লেয়ার আছে, তাদের চেয়ে বেশি হয় তাহলে আমাদের জন্য একটু অন্যরকম লাগে।"
পারিশ্রমিকের এই বৈষম্য নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ক্রিকেটারদের বিদ্রোহের সময় তোলা ১১ দফা দাবির একটিতে উল্লেখ করা হয় বিপিএল পারিশ্রমিকে বৈষম্য প্রসঙ্গ। এবারে কোনো ব্যবস্থা নেয়া না গেলেও বিসিবির পক্ষ থেকে পরেরবার পারিশ্রমিকে ভারসাম্য আনার আশ্বাস পেয়েছেন ক্রিকেটাররা।
"নেক্সট ইয়ার থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে সেটা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন তারা, তো আশা করছি যে নেক্সট ইয়ার থেকে অন্তত যেন যেটা বললেন যে পারিশ্রমিকের ব্যবধানটা রিভিউ করা হবে, সেটা যেন করা হয়।"
প্লেয়ার্স ড্রাফটে ক্রিকেটারদের গ্রেডিংও পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন মুশফিক।
"আমি যদি বলি শফিউল, তাইজুলের কথা, লাস্ট দুই বছর ওরা আউটস্ট্যান্ডিং খেলেছে। এরা অনেকেই 'বি গ্রেড' বা 'সি গ্রেড'এ আছে। আমার মনে হয় যে অবশ্যই এটা দেখা উচিৎ।"