বিপিএলের অষ্টম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে সাকিবের ফরচুন বরিশাল। চট্টগ্রামের দেয়া ১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৮ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বরিশাল। ১৬ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা চট্টগ্রামের অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ।
বিপিএলের অষ্টম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে টস জেতে ফরচুন বরিশাল। উইকেট দেখে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। চট্টগ্রামের ইনিংসের শুরুটা ছিলো দুর্দান্ত। নাঈম হাসানের প্রথম বলেই কেনার লুইসের ছক্কা। তবে, বল হাতে ঘুড়ে দাঁড়াতে সময় নেননি এই স্পিনার। তৃতীয় বলেই কেনারকে ফেরান নাঈম।
ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনে নামা আফিফ। জোসেফের প্রথম শিকারে পরিণত হবার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।
তারই দেখানো পথে হাটেন সাব্বির-মিরাজরাও। সাকিব ফেরান ৮ রান করা সাব্বিরকে। আর ১ রান বেশি করে নাঈমের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন মিরাজ।
টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট শামীম পাটোয়ারী ১৪ রানে ফিরলে, মাত্র ৬৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় চট্টগ্রাম।
এরপর অবশ্য নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজটি করে বেনি হাওয়েল। নাইমের ১৫ ও হাওয়েলের ৪১ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করে করে চট্টগ্রাম। ৩ উইকেট পেয়েছেন আলজারি জোসেফ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ফরচুন বরিশাল। দলীয় ৩ রানে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি সাকিব, তৌহিদ হৃদয়রা। ১৩ রান করে মেহেদী মিরাজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক। সাজঘরে ফেরার আগে তৌহিদের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।
সাকিব, তৌহিদ হৃদয়রা দ্রুত ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন সৈকত আলী। তবে, দলীয় ৯২ রানের সৈকত ও ইরফান শুক্কুর প্যাভেলিয়নের পথ ধরলে কিছুটা চাপে পড়ে বরিশাল।
সে চাপটা অবশ্য ভালোভাবেই সামলে নেন জিয়াউর রহমান ও ডোয়াইন ব্রাভো। তাদের হার না মানা ৩৪ রানের জুটিতে ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ফরচুন বরিশাল।
ম্যাচ জিততে না পারলেও মাত্র ১৬ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মেহেদী মিরাজ।