বিপিএল ফাইনালে ফাইনালে খুলনার ট্রাম্পকার্ড মুশফিক, রুশো, আমির। রাজশাহীর ভরসা রাসেল, লিটন, মালিক।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শিরোপা যাচ্ছে কার ঘরে? খুলনা টাইগার্স নাকি রাজশাহী রয়্যালস। যেই জিতুক টোয়েন্টি টোয়েন্টিতে নয়া চ্যাম্পিয়ন পাবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। বিশেষ এডিশনের শিরোপা যুদ্ধের আগে দেখে নেয়া যাক দুই ফাইনালিস্টের শক্তি আর দুর্বলতা।
বিপিএলের বিশেষ এডিশনে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে খুলনা টাইগার্স। লিডার বোর্ডে নাম্বার ওয়ান, ওরাই প্রথম ফাইনালিস্ট। অফ স্পিনার মিরাজকে পুরোদমে অলরাউন্ডার বানিয়ে বাজি জিতেছে সুন্দরবনের দলটা। টুর্নামেন্টের লেজে এসে তান্ডব দেখিয়েছেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত।
তবে, খুলনার মূল ভরসার মুশফিকুর রহিম। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকে। ১৩ ম্যাচে এইটির কাছাকাছি গড়, রান ৪৭০। চার ফিফটির সবকটাই দলের জয়ে রেখেছে বড় অবদান।
ক্যাপ্টেন মুশির সাথে বাজনা বাজিয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটার রাইলি রুশো। সেও হায়েস্ট রান গেইটারদের তালিকায় দুই নাম্বারে। ফাইনালে মুশি-রুশো কম্বিনেশন আরও একবার দাঁড়িয়ে গেলে বড় স্কোর পাবে খুলনা, তাতে সেন্দহ নেই।
বোলিং ডিপার্টমেন্টেও দারুণ ভেরিয়েশন। টপ ছয় জনের তিন জনই টাইগারদের। আমিরের সাথে রবি ফ্রাইলিঙ্ক। আছেন স্লো মিডিয়াম পেসার শহিদুল। যে কোন ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বসিয়ে দিতে এরাই কি যথেষ্ট না?
এবার আসা যাক রাজশাহীতে। আসরের সেরা ওপেনিং পেয়ার.. লিটন-আফিফে ভর করেই ফাইনালে এসেছে রয়্যালরা। ট্রফি ডিসাইডারেও দুজনের ফ্লাইং স্টারটের আশায় থাকবে রাজশাহী। রয়্যালস টপ অর্ডারে আরেক ভরসার নাম শোয়েব মালিক। ১৪ ম্যাচে ৪৪৬ রানে দলকে দিয়েছেন দারুণ সাপোর্ট। তিন ফিফটিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের টপ থ্রিতে আছেন সানিয়া মির্জার হাজবেন্ড।
রাজশাহীর সবচেয়ে বড় তারকা ওয়ান ম্যান আর্মি আন্দ্রে রাসেল। আগের ম্যাচটায় বিপিএল দেখেছে ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারের তান্ডব। একাই ম্যাচ জিতিয়ে দলকে তুলেছেন ফাইনালে।
মোটকথা, ব্যাটিং-বোলিংয়ে দারুণ কম্বিনেশনের সাথে পুরোপুরি অলরাউন্ডারদের লড়াইয়ের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু ফাইনাল।