বিমানবন্দরে আরটি পিসিআর ল্যাব না থাকায় আরব আমিরাত যেতে পারছেন না প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি।
এক মাসের মধ্যে ল্যাব স্থাপন করবে বলে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত, শ্রীলঙ্কা, এমনকি পাকিস্তানের বিমানবন্দরে আরটি পিসিআর ল্যাব অনেক আগেই তৈরি করে কর্মী পাঠানো শুরু করলেও, শ্রমবাজার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
সৌদি আরবের পরেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১২ সাল থেকে কয়েক বছর শ্রমবাজার বন্ধ থাকার পর আবার খুললেও সুবিধা পাচ্ছে না প্রবাসী কর্মীরা। করোনায় শ্রমবাজার খুললেও বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব টেস্টের সুবিধা না থাকায় আটকা পড়ছেন প্রায় ১ লাখ কর্মী।
তারা জানায়, অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অনেকের ছয় মাসের অধিক হয়ে গেছে তারা যেতে পারবে না। আবার যারা ভিজিটে যাবে তাদের কোম্পানি অ্যালাউ করবে কি না, এছাড়া যাদের চাকরি চলে গেছে বেকার হয়ে গেছে এর দায়ভার কে নিবে।
এ সংকটে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের বিশেষ বিবেচনায় মেয়াদ বাড়ানোরও আবেদন করা হয়েছে।
বায়রা'র সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, এ কাজের প্রসেস করতে এক থেকে দেড় মাসের সময় লাগবে বলে মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন। এই সময়ে আমরা কিন্তু অনেক পিছিয়ে যাবো। এর আগেও একবার বন্ধ হওয়ার কারণে সেসময় অনেক ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এতে এজেন্সি এবং যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা যদি অন্যান্য দেশ গুলোকে দেখি যেমন ভারত,পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল তারা কিন্তু অনেক আগেই এই মেশিনটি বসিয়ে ফেলেছে।
এদিকে বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও কতগুলো ল্যাব স্থাপন করা হবে, টেস্ট ফি কত হবে, কিংবা কাদের তত্ত্বাবধানে ল্যাব পরিচালিত হবে সেই বিষয়গুলো এখনো ঠিক হয়নি।
বিমানবন্দর পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বলেন, আরেকটি চুড়ান্ত মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এই ফ্যাসিলিটি কি পরিসরে হবে, কয়টি ল্যাব বসবে, কারা নিয়ন্ত্রণ করবে। এছাড়া সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে টেস্ট ফ্যাসিলিটি নির্ধারণ করেছে। চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই সকল কিছু বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রতিযোগিতার বাজারে শুধু বিমানবন্দরে রেপিড আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত সময়মত নিতে না পারায় এই সংকটের সৃস্টি বলছে অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা।