আন্তর্জাতিক, অন্যান্য

বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বমুখী ভোজ্যতেলের দাম

আবু বকর

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ৭ই মে ২০২২ ০২:২৩:৫১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। মহামারিতে ধুঁকতে থাকা তেলের বাজারে নতুন করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ধাক্কা লাগে।

সূর্যমুখীর দুই শীর্ষ উৎপাদক দেশের যুদ্ধে সয়াবিন ও পাম তেলের চাহিদা বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে খরার কারণে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের সয়াবিন উৎপাদন কমে যাওয়া আর ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আসে শেষ পেরেক হয়ে।

গেল এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে ভোজ্যতেলের দাম ছিল ২০১৯ সালের এপ্রিলের দামের ৪ গুণ বেশি। বিশ্বে উৎপাদিত সূর্যমুখী তেলের অর্ধেকই আসে ইউক্রেন থেকে। আর রাশিয়া যোগান দেয় আরও চারভাগের একভাগ।

রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করলে বেড়ে যায় সূর্যমুখী তেলের দাম। বিকল্প হিসেবে সয়াবিন ও পাম তেলের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে ফেব্রুয়ারিতে এ দুইজাতের তেলের দাম নতুন রেকর্ড করে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএওর' রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্চে সয়াবিন তেলের দাম আরও ২৩ শতাংশ বেড়েছে। এসময় প্রতি মেট্রিক টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১ হাজার ৯৫৭ ডলার। আর পাম তেলের দাম বাড়ে ২শ শতাংশ।

এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শীর্ষ পাম তেল উৎপাদক দেশ ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলে তেলের দাম আরও বেড়েছে। করোনা মহামারি, শ্রমিক সংকট, জৈব জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি আর খরার কারণে দক্ষিণ আমেরিকায় সয়াবিন উৎপাদন কমে যাওয়ায় ঘাটতি সামাল দিতে পারছেনা দেশগুলো।

বাড়তি দাম ও সংকটের কারণে স্পেন, গ্রিসসহ বেশ কিছু দেশের সুপারমার্কেটগুলো ক্রেতাদের অতিরিক্ত ভোজ্য তেল না কেনার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের কয়েকটি সুপারমার্কেট ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রির সীমা বেঁধে দিয়েছে। আর ঘাটতি পূরণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল আমদানির চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত।

আরও পড়ুন