চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণ করা ভূমির মধ্যে তার ও পরিবারের কারও জমি নেই। এমন দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে ৩৫৯ কোটি টাকা কারসাজি নিয়ে ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে নিজ বাসভবনে ব্রিফিংয়ে এই দাবি করেন তিনি।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রথম দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির দাম ৫৯৩ কোটি টাকা ধরা হলেও, পরে তা ১৯৩ কোটি টাকায় নেমে আসে। জমির এই উচ্চমূল্য নির্ধারণ ও পরে তার দাম কমানো, এ সবকিছুই করেছে জেলা প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ থেকে আমার কিংবা আমার পরিবারের কারও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই। এই অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। ষড়যন্ত্রের সঙ্গে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জড়িত, কেন্দ্রের কেউ জড়িত কি না, তা আমার জানা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়টির জায়গা অনুপযুক্ত বলা হলেও এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পানি সম্পদসহ বিভিন্ন বিভাগ অনুমতি দিয়েছে। তাই এটা বোধগম্য নয়। চাঁদপুরে কোনও বড় প্রকল্প নিলেই বিভিন্ন মহল থেকে বাধা আসছে। জেলা প্রশাসন নিয়ে আমি কোনও কথা বলতে চাই না, কারণ তারাও সরকারের অংশ। এখানে কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে তার তদন্ত করে দেখা দরকার।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ সম্পর্কে পত্রিকা পড়ে প্রথমে জানতে পারি। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং আরেকজন এমপি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ যথাযথ ফোরামে জানাতে পারতেন। তা না করে তারা মিডিয়ায় বলেছেন। তবে আমি দল ও সংসদে বিষয়টি অবহিত করছি। কারণ আমি দলের শিষ্টাচার মেনে চলি। জমি অধিগ্রহণ বিতর্ক নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও তদন্ত হতে পারে, তখন আবার এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই ভূমি বা অন্য কেউ তদন্ত করলে ভাল হয়। আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, মনগড়া অভিযোগ নিয়ে করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যারা যারা বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভেবে দেখছি।