কোরাবানি ঈদকে লক্ষ্য করে, প্রতি বছর শেরপুরের খামারি আর কৃষকরা গরু লালন-পালন করেন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় তারা। প্রশাসন বলছে, খামারিদের সুবিধায় অনলাইনে গরু বিক্রির হাট চালু করা হয়েছে। এদিকে, কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন কুমিল্লার খামারিরা। এবার জেলায় প্রায় আড়াই লাখ পশু বিক্রি নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
শেরপুর জেলা সদরে জিহান ডেইরি ফার্মে একটি ষাঁড় অনেক যত্নে বড় করেছেন খামারি। নাম রেখেছেন বীর বাহাদুর।
বীর বাহাদুরের দাম হাঁকছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া খামারে সুঠামদেহী আরও ৮০টি ষাঁড় রয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে এত গরু বিক্রি হবে কি-না, এ নিয়ে চিন্তিত খামারি।
জিহান ডেইরি ফার্মের একজন স্টাফ বলেন, আমরা বর্তমান মূল্যে গরুগুলো বিক্রি করতে পারবো কি-না, ফার্ম কর্তৃপক্ষ দুশ্চিন্তায় আছে।
এদিকে জেলা শহরের কান্দাপাড়ায় কলেজছাত্র তাহমিদ এরশাদ অলিদ লালন-পালন করেছেন ব্রাহামা জাতের একটি ষাঁড়। 'শেরপুরের বস' নামে ওই গরুর দাম হাঁকাচ্ছেন সাত লাখ টাকা।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার অনলাইনে পশুর হাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান শেরপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাই। তিনি বলেন, "কোরবানির পশুর হাট শেরপুর জেলা" এরকম একটা ফেইসবুক পেইজ আছে। খামারিরা গরুর ছবি মডেল নাম্বার সহ এই পেইজে আপলোড করতে পারেন। ক্রেতারা ছবি দেখে বিক্রেতাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে গরু কিনতে পারবেন।
এদিকে, কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন খামারে প্রায় আড়াই লাখ পশু রয়েছে। এছাড়া কৃষকেরা লালন-পালন করেছেন প্রায় ১৩ হাজার গবাদিপশু।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জেলায় ৩৬৩টি অস্থায়ী পশুর হাট বসার কথা রয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে অনলাইনে পশু বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কুমিল্লার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, "অনলাইন পশুর হাট কুমিল্লা" নামে একটি অ্যাপস চালু করেছি। সেই অ্যাপসে গবাদি পশুর তথ্য আপলোডের কাজ চলমান আছে। আমি এই অ্যপসের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য খামারি ও ক্রেতা সাধারণকে আহ্বান জানাচ্ছি।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে জেলার খামারি, কৃষক ও গ্রামের মানুষ সারা বছরই পুঁজি বিনিয়োগ করেন। খামারিরা জানান, করোনার কারণে এবার পশু বিক্রি করতে না পারলে নিঃস্ব হতে হবে তাদের।০