জেলার সংবাদ, স্বাস্থ্য

বেকারি খাদ্যের নামে কী খাচ্ছে মানুষ!

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ২৪শে জানুয়ারী ২০২০ ১০:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কাপড় ও কাঠের রং ব্যবহার করা হচ্ছে চকলেট-কেকসহ নানা রকমের বেকারি খাবার তৈরিতে।

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বেকারি। বেশিরভাগ বেকারির নেই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন। খাদ্যপণ্য তৈরিতে ঠিক থাকছে না মান। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এসব খাদ্য মানবদেহের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ।

কাপড় ও কাঠের রং, কিন্তু তা ব্যবহার করা হচ্ছে চকলেট কেকসহ নানা রকমের খাবার তৈরিতে। ভূঞাপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম ভাদুরিচরের আমান আলী নামের বেকারির চিত্র এটি। শুধু ক্ষতিকর রং নয়, দীর্ঘদিনের পোড়া তেল, পঁচা ও নষ্ট চিনির রস মেশানো হচ্ছে খাবারে। মনগড়াভাবে লেখা হচ্ছে উৎপাদন ও মেয়াদ উর্ত্তীর্ণের তারিখ। ওজনেও দেয়া হচ্ছে কম।

শুধু আমান আলী বেকারি নয়, জেলার বিভিন্ন জায়গায় মিলবে একই চিত্র। এসব না জেনেই খাবার কিনে খাচ্ছেন ক্রেতারা।  ক্রেতারা জানান খাবারে এমন ভেজাল মেনে নেয়া যায় না।

অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন বেকারি মালিকরা। তারা জানান, বেকারির স্থানটি ছোট হওয়ায় কিছুটা পরিষ্কার। তবে, ভবিষ্যতে বেকারির পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন বলে জানান।

ভেজাল খাদ্যপণ্যের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে এসব খাবার না খাওয়ার পরামর্শ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার। ভূঞাপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহীউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'এসব খাবার খেলে শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। এ ধরনের খাবার অবশ্যই আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত।'

অনিয়ম বন্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তা। ভূঞাপুরের সহকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন বলেন, 'নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, কাপড় এবং কাঠের রং ব্যবহার করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

গেল বুধবার ভূঞাপুরে ৮টি বেকারি কারখানাকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আরও পড়ুন