জাতীয়, প্রবাস

বোয়েসেল ও বিএমইটির সমন্বয়হীনতায় ভোগান্তিতে বিদেশগামীরা

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১৫ই জানুয়ারী ২০২১ ১০:৪৬:২০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আঙ্গুলের ছাপ এবং নাম নিবন্ধনে ভোগান্তিতে জর্ডান গমনেচ্ছুক হাজার নারীকর্মী। সরকারি সংস্থার সমন্বয়হীনতায় অনিশ্চিত বিদেশযাত্রা।

আঙ্গুলের ছাপ দিতে এবং নাম নিবন্ধন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন জর্ডান গমনেচ্ছুক প্রায় এক হাজার নারীকর্মী। অভিযোগ- সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বোয়েসেল তাদের মন্ত্রণালয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে বললেও বিএমইটি কর্মকর্তারা তা করেননি। ফলে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের গরিমসিতে অনিশ্চিয়তায় পড়েছে এসব কর্মীদের বিদেশ যাত্রা।

চলতি বছর গার্মেন্টস খাতে ১২ হাজার কর্মী নেবে জর্ডান। দেশের একমাত্র সরকারী রিক্রুটিং এজেন্সি বোয়েসেলের মাধ্যমে তাদের জর্ডান যাওয়ার কথা। এজন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধন ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারী কর্মীরা এলে তাদেরকে নিজ নিজ জেলায় যোগাযোগ করতে বলেন বিএমইটি কর্মকর্তারা।  

গমনেচ্ছুক নারীকর্মীরা বলেন, আমরা যখন ইন্টারভিউ দিতে গেছিলাম তখন কিন্তু আমাদেরকে বলে নাই নিজ নিজ জেলায় আমাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট হবে বা কবে হবে। আমাদেরকে মেসেজ দিয়ে জানিয়েছে যে আমাদেরকে অফিসে এসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার জন্য কিন্তু আমাদের এমন কিছুই হচ্ছে না।

বেশিরভাগেরই অভিযোগ আঙ্গুলের ছাপের জন্য ফিও নিয়েছেন বিএমইটির কর্মকর্তারা, কিন্তু রেজিস্ট্রশন করেননি। ভুক্তভোগীরা জানায়, আমাদেরকে বলেছে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে। টাকা জমা দেয়ার পর আমাদের বলা হচ্ছে যে ঢাকা ব্যতিত অন্যান্যরা তাদের জেলায় গিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি নন বোয়েসেলের কর্মকর্তারা। বিএমইটি মহাপরিচালক শামসুল আলম জানিয়েছেন, ভোগান্তি যাতে না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
তিনি জানান, আমি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি যে একজনের ফিঙ্গার প্রিন্ট বাদ রেখে যেন কেউ বাড়িতে না যায়। এ কাজ সারাদেশেও চলবে তবে ঢাকাতেও করতে পারবে। ফিঙ্গার প্রিন্ট,কাগজপত্র দেখতে কিছুটা সময় লাগে তাই এজন্য একটা সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া উচিত।

অভিবাসন কার্যক্রম গতিশীল করতে মনিটরিং ব্যবস্থা আরও কার্যকর করা প্রয়োজন বলে মনে করেন জনশক্তি সংশ্লিষ্টরা। 

বায়রা মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, যাওয়ার সময় যে টাকাটি আমাদের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয় এবং আমরা যে টাকাটি দিয়ে রাখি তা আমরা কল্যাণ তহবিলে জমা রাখি। তাহলে এতো কর্মী থাকা অবস্থায় কেন আমরা একটি হোস্টেলের ব্যবস্থা করতে পারছি না। এতে করে আমাদের কর্মীদের রাখতে সুবিধা হতো।

বিএমইটির হিসেবে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩২ জন জর্ডানের জন্য ক্লিয়ারেন্স নিয়েছেন।

আরও পড়ুন