লেবাননের বৈরুতে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পরও অন্তত ২০টি ক্ষতিকর রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার এখনো বৈরুত বন্দরে রয়েছে।
সোমবার বার্তা সংস্থা দ্যা এসোসিয়েটেড প্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া ফ্রান্সের উদ্ধারকর্মীরা। গত সপ্তাহের বিস্ফোরণে রাসায়নিক ভর্তি কয়েকটি কন্টেইনার ফেটে যায়।
রাসায়নিক ছাড়াও সেগুলোতে ব্যাটারি এবং নানা দাহ্য পদার্থ রয়েছে। সেগুলো সরিয়ে নিতে লেবানিজ উদ্ধারকর্মীদের সহায়তা করছে ফ্রান্স এবং স্পেনের রাসায়নিক বিশেষজ্ঞরা।
গেল মঙ্গলবার বৈরুত বন্দরের একটি হ্যাঙ্গারে ছয় বছর ধরে রাখা ২ হাজার ৭শ ৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণ হয়। সরকারি নথিপত্রে উঠে এসেছে এর ঝুঁকি সম্পর্কে আগে থেকে জানলেও সেগুলো বন্দর থেকে সরানো হয়নি।
রাসায়নিক গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল বৈরুত। ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের পরই এ ঘটনার জন্য লেবাননের রাজনীতিকদের দুর্নীতি এবং অপশাসনকে দায়ী করে শুরু হয় বিক্ষোভ। এরপর চাপের মুখে প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব। পাশাপাশি তার পুরো মন্ত্রিসভাও পদত্যাগ করে।
পরে সংবাদ সম্মেলনে জাতির উদ্দেশ্যে কথা বলেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সীমাহীন দুর্নীতির কারণেই এই দুর্যোগ।
এদিকে, বৈরুতে রাসায়নিক গুদামে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২শ ২০ এ দাঁড়িয়েছে।