নির্ধারিত ফিসের বাইরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত কোন টাকা না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষাবোর্ডগুলো। অথচ এ নির্দেশনা না মেনে রাজধানীর অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। নন এমপিওর পাশাপাশি এমপিওভুক্ত কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও উঠেছে এমন অভিযোগ।
গত ১৩ই এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ কার্যক্রম চলে ২৪শে এপ্রিল পর্যন্ত। ফি জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ২৫শে এপ্রিল। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১,৬১৫ আর বাণিজ্য এবং মানবিক বিভাগের ফি ছিল ১,৪৯৫ টাকা। নির্দেশনা ছিল কোনভাবেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২৪ মাসের বেশি বেতন এবং অতিরিক্ত কোন ফি না নেয়ার।
কিন্তু শিক্ষাবোর্ডের এই সিদ্ধান্ত মানেনি রাজধানীর অনেক স্কুল। কোন কোন স্কুল ঘোষণা দিয়ে অতিরিক্ত তিনমাসের বেশি বেতন আদায় করেছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। আবার এ বিষয়ে তাদের যুক্তির শেষ নেই।
ঢাকা বনশ্রী ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল প্রধান শিক্ষক শেখ ফরিদ আহম্মদ ফোনোলাপে বলেন, 'বোর্ডে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। বোর্ডের সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য নেই। আমি যে তিন মাস ক্লাস করিয়েছি এবং এখন পর্যন্ত আমরা মডেল টেষ্ট নিচ্ছি ও পাশ করাচ্ছি। তাহলে, আমি আমার এই শিক্ষকদের যে অতিরিক্ত পরিশ্রম করাচ্ছি, তাদের কোথা থেকে টাকা দিব? এর জন্য, আমরা এই অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ টাকাটা নিয়েছি।'
কোন কোন স্কুল আবার সরাসরি বেতন না নিয়ে মডেল টেস্ট, ক্লাসসহ বিভিন্ন অযুহাতে অতিরিক্ত ফি আদায় করেছে।
ঢাকা ফয়জুর রহমান আইডিয়াল স্কুল ইনচার্জ কবির হোসেন ফোনোলাপে বলেন, 'আমরা কয়েকটা মডেল টেষ্ট নিব। তার জন্য ফি লাগবে। মডেল টেষ্ট নিচ্ছি এবং আরও নিতে হবে। খাতা দেখা, পরীক্ষা নেয়া, শিক্ষকদের কষ্ট করা এসবে টাকা খরচ হয়। সে জন্য এই ফি নেয়া।'
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বলছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। কিছু অভিযোগের সত্যতা মেলায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যে দু-তিন জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়েছি, আমাদের কর্মকর্তাদের সেখানে তদন্তে পাঠিয়েছি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।'
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবছরও নির্ধারিত সময়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। ১৯শে জুন থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।