ব্যাগিং পদ্ধতিতে বিষমুক্ত বেগুন চাষে একদিনে কমছে উৎপাদন খরচ, অন্যদিকে ভোক্তারা পাচ্ছেন বিষমুক্ত সবজি।
ব্যাগিং পদ্ধতিতে কীটনাশকের বিষমুক্ত বেগুন চাষ করে লাভবান হচ্ছেন বাগেরহাট ফকিরাহটের চাষীরা। তাই ব্যাগিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন তারা। এতে একদিকে কমছে উৎপাদন খরচ অন্যদিকে ভোক্তা পাচ্ছে বিষমুক্ত সবজি। পুরো জেলায় ব্যাগিং পদ্ধতির বেগুন চাষ ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
কিছুদিন আগেও পোকামাকড় দমনে বেগুন চাষে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করতেন চাষিরা। কারণ পোকায় খাওয়া বেগুন কিনতে চান না ক্রেতারাও। এতে লোকসান গুনতে হত চাষিদের। কিন্তু, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ব্যাগিং পদ্ধতিতে বিষমুক্ত নিরাপদ বেগুন চাষ শুরু করায় ফকিরাহটের চাষিরা এখন লাভবান হচ্ছেন। এ পদ্ধতিতে বেগুনে যেমন অতিরিক্ত কিটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না, তেমনি ফলনও পাওয়া যায় ভালো।
চাষিরা জানান, নিরাপদ বেগুন আবাদে একটি ব্যাগ ৬ থেকে ৮ বার ব্যবহার করা যায়। কম খরচে উৎপাদন ভালো হওয়ায় এ পদ্ধতিতে চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। ব্যাগিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করার পাশাপাশি নিরাপদ সবজির বাজার তৈরিতেও কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় এবার ১২০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ করা হচ্ছে।