কৃষ্ণগহ্বর, মহাজাগতিক তত্ত্ব, মহাবিশ্বের প্রাণসহ নানা ক্ষেত্রে নিজের বিজ্ঞানবোধ দিয়ে আলোকিত করেছেন আধুনিক যুগের শ্রেষ্ঠ পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং।
১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মটর নিউরন ব্যাধিতে আক্রান্ত হলেও, থেমে থাকেনি হকিংয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা। আজ তার ৭৮তম জন্মদিন।
ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর বা কৃষ্ণ বিবর। অতি ক্ষুদ্র আয়তন, কিন্তু ভর অনেক বেশি হওয়ায় এর মহাকর্ষীয় শক্তিও ব্যাপক। ফলে কোন কিছুই এর ভেতর থেকে বের হতে পারে না, এমন কি আলোও! মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্যের তাত্ত্বিক ব্যাখায় কৃষ্ণগহ্বর আর বিকিরণতত্ত্ব খোলাসা করে সারা দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেন স্টিফেন হকিং।
দূরারোগ্য মটর নিউরন ব্যাধিতে আক্রান্ত হলেও থেমে ছিলো না ‘বিগ ব্যাং থিউরি’র প্রবক্তা স্টিফেন হকিংয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা। সারা শরীর অচল, অসাড় হলেও সক্রিয় ছিলো তার মস্তিষ্ক। ১৯৮৮ সালে 'এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম' বইয়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত হয়ে ওঠেন হকিং।
অনুসন্ধিৎসু মানুষের কাছ থেকে বাছাই করে ১০টি প্রশ্ন করা হয়েছিলো হকিংকে। সেই প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন হুইল চেয়ার নির্ভর এই পদার্থ বিজ্ঞানী।
'এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম' বইটি অবলম্বনে নির্মিত জীবনীমূলক প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে স্টিফেন হকিং নিজেই অভিনয় করেন।