ছোটদের কাছে বড়দিন মানেই সান্তা ক্লজের ঝোলা থেকে বিশেষ কোন উপহার। হরিণে টানা স্লেজে করে বাচ্চাদের কাছে উপহার নিয়ে আসেন সান্তা। এমনটাই প্রচলিত রয়েছে। সেন্ট নিকোলাস নামে এক ধর্মযাজকের কাহিনীই সান্তা ক্লজ নামে পরিচিত পায় বলে ধারণা করা হয়। অনেকে আবার মনে করেন, ফিনল্যান্ডের রোভানিয়েমের গ্রামে থাকেন পাশ্চাত্য সংস্কৃতির কিংবদন্তী এই চরিত্রটি।
খ্রিষ্টধর্মের অনুসারীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। লাল পোশাক, লাল টুপি, সাদা ধবধবে চুল আর দাড়িতে বড়দিনের প্রতীকে রূপ নিয়েছেন সান্তা ক্লজ। রাতে হরিণ টানা স্লেজে বেরিয়ে পড়েন সান্তা। সঙ্গে থাকে ঝোলাভর্তি উপহার। চিমনি দিয়ে বাড়িতে ঢুকে চুপিসারে উপহার রেখে আসেন ঝুলিয়ে রাখা মোজার ভেতর।
শিশুরা চিঠি লেখে সান্তাকে, চিঠি পড়ে তাদের ইচ্ছেপূরণ করেন। সান্তা ক্লজের চরিত্রটি বাস্তব বলে মনে করেন অনেকে। চতুর্থ শতাব্দীতে এশিয়া মাইনরের একটি জায়গায় বাস করতেন সেন্ট নিকোলাস নামে এক ধর্মযাজক। তিনি খুবই ধনী ছিলেন। দরিদ্র-নিঃস্বদের গোপনে সাহায্য করতেন সেন্ট নিকোলাস।
সেন্ট নিকোলাস একবার জানতে পারলেন, গরীব এক বাবা অভাবে পড়ে তার তিন মেয়েকে ক্রীতদাসী হিসেবে বিক্রি করে দিতে চাইছেন। রাতে তার বাড়ির ছাদের পাশে থাকা চিমনি দিয়ে সোনাদানা বোঝাই একটি ঝোলা ফেলে দেন নিকোলাস। সেসময় চিমনির নিচে শুকানোর জন্য রাখা মোজাগুলো ভরে যায় টাকা পয়সা ও রত্নে। সেই থেকে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে রক্ষাকর্তায় পরিণত হন সেন্ট নিকোলাস। পরবর্তীতে তিনিই সান্তা ক্লজ নামে পরিচিতি পান বলে মনে করা হয়।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, উত্তর মেরুতে বাস করেন সান্তা। অনেকে আবার মনে করেন, ফিনল্যান্ডের রোভানিয়েমি শহরের বরফে ঢাকা একটি গ্রামে থাকেন তিনি। সেখানেই রয়েছে তার বল্গা হরিণের খামার। এল্ভস নামে সান্তার সহকারীও থাকেন সেখানে। পর্যটকদের থাকার জন্য ইগলু রয়েছে রোভানিয়েমিতে। প্রতি বছর গড়ে ৩ লাখ মানুষ বেড়াতে আসে এই গ্রামে।