জাতীয়, জেলার সংবাদ, অপরাধ

বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলায় সাত এমডিসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ইসতিয়াক হোসেন

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ১৫ই অক্টোবর ২০১৯ ০৯:২৯:৩০ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকার কয়লা চুরির অভিযোগ রয়েছে।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে এক লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আত্মসাতের অভিযোগে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিরও আদেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে, দিনাজপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আজিজ আহমদ ভুঞা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানি শেষে এই পরোয়ানা জারি করেন। দুদকের দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের মামলা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোটেক এম আমিনুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।  

তিনি জানান, আলোচিত এই মামলার শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগপত্রের তালিকাভুক্ত বড়পুকুরিয়ার সাবেক সাত এমডিসহ ২৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।  এছাড়াও তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন মোতাবেক ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকায় পাঁচ কর্মকর্তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত এক লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা। এই ঘটনায়দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। কয়লা গায়েবের ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিসুর রহমান বাদী হয়ে গত বছর ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি দুদকের তফশিলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে মামলাটি দুদকের উপ-পরিচালক সামসুল আলম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তদন্ত করেন। গত ২৪ জুলাই মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়। আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।

আরও পড়ুন