করোনা মহামারিতে ভারতজুড়ে স্কুল থেকে বহু শিক্ষার্থীর ঝড়ে পড়ার আশঙ্কা।
করোনা মহামারিতে ভারতজুড়ে স্কুলে যেতে পারছেনা লাখ লাখ শিশু। সরকার অনলাইন ক্লাসে জোর দিলেও মহামারির সময়ে দারিদ্র্যতায় অনেক শিশুর পরিবার তাতে সামর্থ্যবান নয়। ভারতের আহমেদবাদে দুই নারী এমন অনেক শিশুর লেখাপড়ার ভার তুলে নিয়েছেন নিজেদের হাতে।
সবরমতী নদীর পাশে বটের ছায়ায়, মাঠের কিনারে কিংবা খোলা পার্কে পাটি বিছিয়ে নিবিষ্ট মনে লেখা পড়া করছে এক দল সুবিধা বঞ্চিত শিশু।
ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর বাড়ি পাশে পশ্চিম ভারতের শহর আহমেদবাদে নিতু গুপ্তা ও দীপ্তি চৌহান এসব সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পড়ান নিজ উদ্যোগে। মহামারিতে চলমান লকডাউনে এসব শিশুদের পরিবারের সামর্থ নেই অনলাইন স্কুল চালানোর।
তারা যেন পড়াশুনা থেকে ছিটকে না পড়ে তাই লেখাপড়ার ভার নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন দুই নারী। তারা জানান, ওদের সামর্থ নেই স্মার্ট ফোন কেনার। অনেকেই স্মার্ট ফোন অপারেটও করতে পারেনা। মহামারির কারণে ওরা ইন্টারনেট সুবিধাও পাচ্ছেনা।
করোনাকালীন ভারত সরকার অনলাইন ভিত্তিক স্কুল পরিচালনায় জোর দিয়েছে। কিন্তু ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সরকারি তথ্যমতে ভারতজুড়ে মাত্র ২৩ শতাংশ পরিবারের ইন্টারনেট চালনার সামর্থ আছে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনটি শিফটে ৮০ জন বাচ্চাকে পড়ানো হয়।
জাতিসংঘের গত বছরের তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় দশ কোটি মানুষ চরম দারিদ্রের দ্বার প্রান্তে। এ বছরে এই সংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিশ্ব জুড়ে লাখ লাখ শিশু স্কুল থেকে ঝড়ে পড়তে পারে।