জামানত নিয়ে দেশজুড়ে বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ। এরপর ন্যূনতম তিন লাখ টাকা জামানতে বিভিন্ন জেলায় ভোগ্যপণ্যের পরিবেশক নিয়োগ।
তবে, সবই আসলে লোক দেখানো। কিছুদিন পর রাজধানীর অন্য কোন এলাকায় নতুন কোনো কোম্পানি খুলে আবারো একই ফাঁদ। এভাবে সাত মাসে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর চক্রের পাঁচ সদস্য ধরা পড়েছে পুলিশের জালে।
চলতি বছরের শুরুতে রাজধানীর উত্তরার দশ নম্বর সেক্টরে এই ভবনটির পঞ্চম তলায় জোনাক ফুড অ্যান্ড বেভারেজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। রাতারাতি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারি, ডিপো ইনচার্য ও ডিলার নিয়োগও শুরু হয়। শর্ত, দিতে হবে জামানত। ডিলার নিয়োগের নামে প্রতিজনের কাছ তেকে তিন থেকে দশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। একদিন হঠাৎ করেই অফিস বন্ধ করে গা ঢাকা দেয় তারা।
ভবন তত্বাবধায়ক মো. আসাদুজ্জামান জানান,'আমরা ওদের কাছে ৪/৫মাসের ভাড়া পাবো। অনেক লোকজন আসে টাকা পাবে। কেউ পাঁচ লাখ, কেউ দুই লাখ। এমন অনেক লোক আসে।'
মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ খোঁজ পায় একই ভাবে এই একই চক্রের সদস্যরা রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদ অ্যাভিনিউএ ও কামরাঙ্গীর চরে ডেলটা মডার্ন ন্যাচারাল ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, পল্লবী এলাকায় ইউনিয়ন সুপার এগ্রো ফুড অ্যান্ড বেভারেজ নামে কোম্পানি খুলে প্রতারণা করছিলো।
অভিযুক্ত মো. মহররম আলী বাহার, ফারুক হোসেন এবং সৈয়দ ইমরান বলেন,'পার্টি যখন টাকা পাঠাতো তখন আমরা বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনে বোতলজাত করে বিক্রি করতাম। খোলা আটা কিনতাম। তেল চাল সব কিনে প্যাকেজিং করতাম। টাকার বিপরীতে আমরা তাদের প্রডাক্ট দিতাম।'
নিজস্ব কোন পণ্য না থাকলেও ডিলারদের বিশ্বস্ততা অর্জনে প্রতারণার সময়কালে বাজার থেকে নিন্মমানের ভেজাল পন্য কিনে কোম্পানির মোড়কে পৌছে দেয়া হতো ডিলারদের কাছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেঁজগাও বিভাগ মো . শহিদুল্লাহ, উপ কমিশনার জানান,'মোহাম্মদপুর এলাকায় তিন মাসে চার কোটি টাকা। উত্তরা এলাকায় চার মাসে তিন কোটি টাকাসহ অসংখ্য টাকা এবং লোকজনদের নিয়োগ দিয়েছে।'
প্রতারণা এড়াতে তাই চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ না হতে ও টাকার বিনিময়ে চাকরি না নেয়ার পরামর্শ পুলিশের।